ঢাকামঙ্গলবার , ৩০ ডিসেম্বর ২০১৪
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও অন্যান্য
  5. খেলাধুলা
  6. গল্প ও কবিতা
  7. জাতীয়
  8. তথ্যপ্রযুক্তি
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম ও জীবন
  11. প্রবাস
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ প্রতিবেদন
  15. মুক্তমত
আজকের সর্বশেষ সবখবর

এয়ার এশিয়া কিউজেড৮৫০১: ধোঁয়ার উৎস নিয়ে তদন্ত

দৈনিক পাঞ্জেরী
ডিসেম্বর ৩০, ২০১৪ ৯:৪০ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

3rvkn3amআন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইন্দোনেশিয়ার সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা বেলিতুং প্রদেশের এক দ্বীপ থেকে ধোঁয়া উঠছে বলে খবর পাওয়ার পর এ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। তাদের ধারণা এয়ার এশিযার নিখোঁজ বিমান থেকেই ওই ধোঁয়া উদগীরিত হচ্ছে।
এদিক কিউজেড৮৫০১ বিমানের অস্তিত্ব খুঁজে বের করতে মঙ্গলবার তৃতীয় দিনের মত তল্লাশি শুরু হয়েছে। সাগর এবং স্থলে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। রোববার সকালে ১৬২ আরোহী নিয়ে ইন্দোনেশিয়ার সুরাবায়া শহর থেকে সিঙ্গাপুর যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয় এয়ার এশিয়ার ওই বিমানটি।
মঙ্গলবার বাঙ্কা বেলিতুং প্রদেশ থেকে ইন্দোনেশিয়ার ন্যাশনাল সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ এজেন্সির এক কর্মকর্তা বিবিসিকে জানিয়েছেন, তারা ধোঁয়া সংক্রান্ত তথ্যের ওপর অনুসন্ধান চালাতে লং আইল্যান্ডে একটি তদন্ত দল পাঠিয়েছে। বেলিতুং প্রদেশের ওই দ্বীপ থেকে ধোঁয়া উড়ছে বলে সোমবার খবর পাওয়ার পর তারা এ নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে।
সোমবার এক চীন টেলিভিশনের খবরে এ সম্পর্কে প্রথমে জানানো হয়। দ্বীপের যে স্থানে ধোঁয়া দেখা গেছে সেটি বেলিতুংয়ের মানগার এলাকা থেকে ২৯ মাইল দূরে অবস্থিত। আনড্রিয়ানডি নামের ওই কর্মকর্তা বিবিসিকে জানিয়েছেন,‘এয়ার এশিয়ার নিখোঁজ বিমাটিন থেকিই ওই ধোঁয়া উঠছে বলে আমরা অনুমান করছি। তবে আমাদের বিষয়টি আরো যাচাই করে দেখতে হবে।’ যদিও এ নিয়ে দ্বিমত প্রকাশ করেছেন বিশেজ্ঞরা।
কর্মকর্তারা আরো জানিয়েছেন, জাকার্তার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল বিমানচালকের প্রথম বার্তাটি শুনতে পেয়েছিল। দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারনে বিমানটিকে অপ্রচলিত রুটে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে ওই বার্তাটি পাঠানো হয়েছিল। এর তিন মিনিট পর জাকার্তার এয়ার কন্ট্রোল থেকে চালকের দ্বিতীয় অনুরোধটিরও জবাব দেয়া হয়েছিল। চালক আরো উপরে ওঠার অনুমতি চেয়ে ওই বার্তা পাঠিয়েছিলেন। তারা চালককে আরো উপরে উঠার অনুমতি দিয়েছিল। কিন্তু তাদের সে বার্তা চালকের কাছে পৌঁছায়নি। এর আগেই বিমানটি রাডার থেকে হারিয়ে যায় এবং গত তিন দিনেও এর কোনো হদিস পাওয়া যায়নি।
এদিকে সোমবার বেলতুং দ্বীপে একটি তৈলাক্ত স্থান খুঁজে পেয়েছেন তল্লাশি দল। ধারণা করা হচ্ছে, ওই এলাকায় বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার সময় এটি থেকে এসব তেল ছিটকে পড়েছে। মঙ্গলবার এর ওপরও তদন্ত শুরু হয়েছে।
এর আগে ইন্দোনেশিয়ার ন্যাশনাল সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ এজেন্সির প্রধান বামবাং সোইলিস্তয়ো বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। এ সম্পর্কে তিনি বলেছিলেন, তদন্ত কর্মকর্তারা এ নিয়ে দুজন জেলের সঙ্গে কথা বলেছেন। তারা রোববার একটি বিকট শব্দ শুনতে পেয়েছে বলে কর্মকর্তাদের জানিয়েছে। কিন্তু এত কিছুর পরও এখন পর্যন্ত বিমানের টিকিটির সন্ধান পাওয়া যায়নি। এর আগে সোমবার বামবাং সোইলিস্তয়ো বলেছিলেন, তার ধারণা বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে এবং সাগরের তলদেশে চলে গিয়েছে।
উল্লেখ্য, এয়ার এশিয়ার ওই বিমানটিতে সবমিলিয়ে ১৫৫ জন যাত্রী এবং সাত ক্রু ছিলেন যাদের সিংহভাগই ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক। এছাড়া দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর এবং যুক্তরাজ্যের সাত যাত্রী ছিলেন। বিমানটির সহকারী চালক ছিলেন একজন ফরাসি।
স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে সুরাবায়া ছেড়ে যায় ওই বিমানটি। দু ঘণ্টা পর এটির সিঙ্গাপুর পৌঁছানোর কথা ছিল।