বিনোদন ডেস্ক : শুরু থেকেই আমির খানের ‘পিকে’ ছবির বিরুদ্ধে হিন্দুদের ধর্মানুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগ করে আসছিলো ভারতের মৌলবাদী সংগঠনগুলো। এবার সেই ধারায় যোগ দিলো বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। তারা ছবিটির প্রদর্শন বন্ধ করার জন্য ইতিমধ্যেই ভারতের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দারস্থ হয়েছে। এমন কি তারা সেন্সরবোর্ডের কাছেও ছবির কয়েকটি অংশ কর্তনের দাবি জানিয়েছে। সব মিলিয়ে পিকে বিতর্কে উত্তাল ভারত।
ভারতের সেন্সরবোর্ড সূত্রে জানা গিয়েছে, যেহেতু ছবিটি মুক্তি দেয়ার কাজ সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে, সেহেতু তাদের পক্ষে এখন আর এই ছবিতে ছুরি চালানো সম্ভব নয়।
এদিকে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ গণমাধ্যমের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে জানিয়েছে, ‘পিকে’ হিন্দু ধর্মের অনুভূতিতে আঘাত হানছে। সেইসঙ্গে সাধারণ মানুষের মনকেও প্ররোচিত করছে। এই চিঠিতে স্বাক্ষর করেন সংগঠনটির মুখপাত্র বিনোদ বনশাল ও বিজয় শঙ্কর তিওয়ারি। তাদের দাবি, পিকের মতো আগেও বেশ কিছু ছবি নির্মাণ করা হয়েছে, যেগুলো হিন্দু ধর্মে আঘাত করেছে। সেন্সর বোর্ড সেগুলোকে গুরুত্ব না দিয়ে উপেক্ষা করেছে। তাই তারা আইনের আশ্রয় গ্রহণ করতে যাচ্ছেন।
যদিও প্রবীণ বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আদভানি এই ছবির ভূয়সি প্রশংসা করে বলেছেন, ‘পিকে একটি অসাধারণ এবং সাহসী ছবি’। তিনি কিছুদিন আগেই নিজে ‘পিকে’ দেখেছেন।
অন্যদিকে অভিযোগ উঠেছে, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা কর্মীরা বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে ‘পিকে’র প্রদর্শনী বন্ধ রাখার জন্যে হুমকি দিচ্ছে। ইতিমধ্যে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের প্রেক্ষাগৃহ থেকে ছবিটি নামিয়ে ফেলা হয়েছে। প্রেক্ষাগৃহ মালিকদের অভিযোগ, ‘ছবিটি অনেক ভালো চলছিল। কিন্তু বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কর্মীদের হুমকির কারণে তারা ছবিটি চালাতে নিরাপদ বোধ করছেন না।