নিজস্ব প্রতিবেদক : সরকার গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ালে তা ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকেই নেবেন বাড়িওয়ালারা। একারণে বাড়িভাড়া বৃদ্ধি বন্ধে সরকারি প্রজ্ঞাপন জারির দাবি জানিয়েছে ভাড়াটিয়া পরিষদ নামে একটি সংগঠন। একই সঙ্গে গ্যাস-বিদ্যুতের দাম না বাড়ানোরও দাবি জানিয়েছেন তারা।
বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘বাড়ি ভাড়ার ক্ষেত্রে অনিয়ম দূর করার লক্ষ্যে এবং ভাড়া বৃদ্ধি না করার জন্য অবিলম্বে সরকারি প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে’ আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা এ দাবি জানান।
সংগঠনের সভাপতি বাহারানে সুলতান বাহার বলেন, ‘ঢাকা শহরে প্রায় এক কোটি ৫০ লাখ লোকের বসবাস। বাংলাদেশের প্রাণকেন্দ্র ঢাকা হওয়ার কারণে সারা দেশের গরীব, দরিদ্র, হতদরিদ্র ও মধ্যবিত্ত মানুষের বসবাস। বর্তমানে ঢাকা শহরের ৭৭৫টি এলাকায় সিটি করপোরেশনের বাড়ি ভাড়ার রেট রয়েছে।বাড়ির মালিকরা এ রেট না মেনে কয়েকগুণ ভাড়া বেশি নিচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘সিটি কর্পোরেশনের নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা মানছে না বাড়িওয়ালারা। বাড়িভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৯১ অনুযায়ী ভাড়া বাড়ানোর আগে রেট কন্ট্রোলারের অনুমোদনের বিধান থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। প্রতিবছরের জানুয়ারি মাসে বাড়িওয়ালারা এক থেকে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত ইচ্ছামাফিক ভাড়া বাড়াচ্ছে।’
সরকার বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ঘোষণা প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক ভাড়াটিয়ার ঘাড়ে এ বিদ্যুৎ বিলের ভার এসে পড়বে। বাড়ির মালিকেরা ১০ টাকা বিদ্যুতের বিল বাড়লে ২০০ টাকা ভাড়াটিয়াদের পকেট থেকে নেবেন। ঢাকায় ছেলেমেয়েদের নিয়ে ভাড়াটিয়াদের জীবন-যাপন করা দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। বাড়ির মালিকেরা ভাড়াটিয়াদের অর্থনৈতিকভাবে নির্যাতন করছেন।’
সংগঠনের পক্ষথেকে দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ভাড়াটিয়ার কাছ থেকে মাত্র এক মাসের অগ্রিম ভাড়া নিতে হবে।
আইনবহির্ভূতভাবে বাসা ও দোকান ভাড়া বাড়ানো চলবে না। যেসব মালিক আইন অমান্য করবে তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে বিচার করতে হবে।
এ জন্য ১৯৯১ সালে প্রণীত বাড়িভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রয়োজনীয় সংস্কার ও বাস্তবায়ন করার দাবিও জানান।
বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধি বন্ধ না হলে রাজপথে আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছে ভাড়াটিয়া পরিষদ। এজন্য ২০১৫ সালের শুরু থেকেই ঢাকা শহরের ভাড়াটিয়াদের নিয়ে এ আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলেও জানিয়েছে সংগঠনটির পক্ষ থেকে।
মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জান্নাত ফাতেমা, মো. মোস্তফা, মাহাতাব উদ্দিন শহীদ, অ্যাড. জুয়েল আহমেদ, অ্যাড. ফজলুল হক প্রমুখ।