নিজস্ব প্রতিবেদক : জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার পরবর্তী শুনানির দিন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ওপর হামলা হতে পারে এমন আশঙ্কা করে ওই মামলার পরবর্তী হাজিরার দিন তার নিরাপত্তা চেয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার পরবর্তী শুনানি ৭ জানুয়ারি।
বুধবার রাজধানীর চকবাজার থানায় বেগম জিয়ার পক্ষে এ জিডি করেছেন তার আইনজীবী প্যানেলের সদস্য মো. জাকির হোসেন ভূঁইয়া।
জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘গত ২৪ ডিসেম্বর তারিখে বিশেষ জজ আদালত-৩ এ আসার সময় খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরে যে হামলা হয় তার পুনরাবৃত্তি হতে পারে।’
এ জিডি সম্পর্কে বিএনপির আইনজীবী প্যানেলের সদস্য অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া মামলার শুনানিতে আদালতে আসার পথে আওয়ামী কর্মীরা বিএনপি নেতা কর্মীদের ওপর পশুর মতো হামলা, নির্যাতন চালিয়েছে। এজন্য আমরা জিডি করেছি। তবে এই জিডিতে এখনো কোনো সিল, সই দিয়ে রেজিস্ট্রি করা হয়নি। থানা কর্মকর্তারা বলেছেন তারা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জিডির রেজিষ্ট্রির বিষয়ে জানাবে।’
অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া আরো বলেন, ‘এই জিডিটি শুধু বিএনপির চেয়ারপারসনের নিরাপত্তার জন্য নয়। এটি তার আইনজীবী ও নেতাকর্মীসহ সবার নিরাপত্তার স্বার্থে দায়ের করা হয়েছে।’
গত ২৪ ডিসেম্বর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বকশিবাজার আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালতে বেগম খালেদা জিয়ার হাজিরাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের রূপ নেয় ওই এলাকা।
চেয়ারপারসনের হাজিরাকে কেন্দ্র করে ওইদিন সকাল থেকে বকশিবাজার এলাকায় সরব ছিলেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। রাজপথের বিরোধী দলীয় এই নেতার হাজিরাকে কেন্দ্র করে পুলিশের কড়া নিরাপত্তা থাকলেও ওই এলাকাতেই দুপুর ১২টার দিকে বিএনপি-ছাত্রদলের মিছিলে আচমকা হামলা চালায় ছাত্রলীগ। দুপুর প্রায় সাড়ে ১২টা পর্যন্ত থেমে থেমে সংঘর্ষ চলে।
এরইমধ্যে হাজিরা দিয়ে খালেদা চলে গেলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। তবে তার আগেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিএনপিকর্মীদের হামলার শিকার হন নেত্রকোনার সাংসদ ছবি বিশ্বাস। হামলাকারীরা ছবি বিশ্বাসের ব্যবহৃত গাড়িটিও পুড়িয়ে দেন।
ছবি বিশ্বাসের ওপর এই হামলার ঘটনায় পরে শাহবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় অভিযোগ আনা হয়, হত্যার উদ্দেশ্যে ছবি বিশ্বাসের ওপর হামলা চালানো হয়।