ঢাকাবুধবার , ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও অন্যান্য
  5. খেলাধুলা
  6. গল্প ও কবিতা
  7. জাতীয়
  8. তথ্যপ্রযুক্তি
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম ও জীবন
  11. প্রবাস
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ প্রতিবেদন
  15. মুক্তমত
আজকের সর্বশেষ সবখবর

জবানবন্দি দেবেন না মেঘ ও রুনির মা-ভাই

দৈনিক পাঞ্জেরী
ডিসেম্বর ৩১, ২০১৪ ১১:৩২ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

sagor-runyনিজস্ব প্রতিবেদক : নিহত সাগর-রুনি দম্পতির ছেলে মাহির সরওয়ার মেঘ এবং রুনির মা ও ভাই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে ইচ্ছুক নয় বলে আদালতকে জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা।
গত ৩০ ডিসেম্বর মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাবের সহকারী পরিচালক সহকারী পুলিশ সুপার ওয়ারেছ আলী কম্পউটারে কম্পোজ করা তিন পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন ঢাকার সিএমএম আদালতে দাখিল করেন।
ওই প্রতিবেদনে জবানবন্দি দিতে বাদী ও তাদের পক্ষের লোকজনের অনাগ্রহের বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা আদালতকে বলেন, ‘মামলার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী ভিকটিমদ্বয়ের একমাত্র পুত্র মাহির সরওয়ার মেঘকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার জবানবন্দি কার্যবিধির ১৬১ ধারা মতে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। তাকেসহ আরো সাক্ষী নুরুন্নাহার মির্জা (রুনির মা) এবং নওয়াজীশ আলম রিমনদেরকে (রুনির ভাই) বিজ্ঞ আদালতে হাজির করে তাদের জবানবন্দি সাক্ষী হিসেবে কার্যবিধির ১৬৪ ধারার মোতাবেক লিপিবদ্ধ করার উদ্যোগ নেয়া হয়। কিন্তু তাহারা আদালতে যেতে ইচ্ছুক নয় এবং বাদী নিজেও তাদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণে অনীহা প্রকাশ করেন। বিধায় বারবার চেষ্টা করেও তাদেরকে আদালতে নেয়া সম্ভব হয়নি।’
এছাড়া ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আসামি পলাশ রুদ্র পালের মোবাইল সেট উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। ঘটনার পরপরই যেসব পুলিশ কর্মকর্তা এবং ফোর্স ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, কিন্তু কেউই এ ব্যাপারে তথ্য দিতে পারেননি।
ওইদিন সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন নাহার রুনির চুরি যাওয়া ল্যাপটপ উদ্ধারে সহায়তার জন্য বিটিআরসির চেয়ারম্যানকে সহায়তার নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আনোয়ার ছাদাত।
একই সঙ্গে উদ্ধার সক্রান্তে এবং মামলার অন্যান্য বিষয়ে তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২ ফেবুয়ারি দিন ধার্য করেছেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ভিকটিমদ্বয় মিডিয়া কর্মী হওয়ায় তদন্তকালে ২৭ জন ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ার সংবাদকর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে তদন্ত করা হচ্ছে।
এর আগের ধার্য তারিখে ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট এসএম মারুফ হোসেন তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাবের সহকারী পরিচালক সহকারী পুলিশ সুপার ওয়ারেছ আলীকে কেস ডকেটসহ (সিডি) আগামী ৩০ ডিসেম্বর আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি আদেশে বলেছেন, মামলাটির তদন্ত শেষ হতে আর কতোদিন লাগবে তা ন্যায় বিচারের স্বার্থে জানা দরকার।
তদন্ত কর্মকর্তার অগ্রগতি প্রতিবেদন অনুযায়ী মামলাটি জব্দ আলামতের সঙ্গে মেলানোর জন্য গ্রেপ্তার আট আসামি ও সন্দেহভাজন ২১ আত্মীয়-স্বজনের ডিএনএ নমুনা যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয়েছে বলে আদালতকে জানানো হয়। তদন্তকালে ঘটনাস্থলের আশপাশের লোকজন, নিহতের আত্মীয়স্বজন, নিহতদের অফিসের সহকর্মী ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিসহ মোট ১৫০ ব্যক্তির জবানবন্দি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬১ ধারায় লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।
মামলার অপর ৮ আসামি জন হলেন- রুনির কথিত বন্ধু তানভীর রহমান, সাগর-রুনি যে বাড়িতে থাকতেন ওই বাড়ির দারোয়ান পলাশ রুদ্র পাল, বাড়ির সিকিউরিটি গার্ড এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুন ও আবু সাঈদ। আসামিদের মধ্যে তানভির জামিনে আছেন।
২০১২ সালের বছর ১০ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রুনি নিজ ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন। পরদিন ভোরে তাদের ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়।