ঢাকাবুধবার , ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও অন্যান্য
  5. খেলাধুলা
  6. গল্প ও কবিতা
  7. জাতীয়
  8. তথ্যপ্রযুক্তি
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম ও জীবন
  11. প্রবাস
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ প্রতিবেদন
  15. মুক্তমত
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সন্তান স্কুলে পৌঁছালেই এসএমএস পাবেন অভিভাবক

দৈনিক পাঞ্জেরী
ডিসেম্বর ৩১, ২০১৪ ১১:৫১ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

Studentনিজস্ব প্রতিবেদক : সিঙ্গাপুর ভিত্তিক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান একটাটেক বাংলাদেশের স্কুল শিক্ষা ব্যবস্থাকে ডিজিটালাইজেশন করার উদ্যোগ নিয়েছে। শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষার্থীদের সঠিক উপস্থিতি নিরূপণে একটাটেক নিয়ে এসেছে ইনটেলিজেন্ট অ্যাটেন্ডেন্স মনিটরিং সিস্টেম। ইতোমধ্যেই দেশের বিখ্যাত ইংলিশ মিডিয়াম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে প্রতিষ্ঠানটির পাইলট প্রোজেক্ট শুরু হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে দেশের প্রায় ১০ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সম্পূর্ণ অটোমেশন করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজেশনে অন্তর্ভুক্ত হবে।
স্কুল অটোমেশন সম্পর্কে অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের অধ্যক্ষ শহীদুল আলম মঞ্জু বলেন, ‘বর্তমানে আমরা একটাটেকের সিকিউরিটি প্রোডাক্ট ব্যবহার করছি তবে আগামী সেশন থেকে আমরা সম্পূর্ণ স্কুল পেপারলেস করে ফেলবো। আমরা অ্যাকাউন্ট, ছাত্র-শিক্ষক এবং ম্যানেজমেন্টের জন্য ভিন্ন ক্যাটাগরিতে অটোমেশন করেছি। শিগগির আরএফআইডি চালু করা হবে। এর মাধ্যমে কোনো শিক্ষার্থী স্কুলে প্রবেশ করা মাত্রই সিস্টেম তাকে কাউন্ট করবে এবং অভিভাবকের কাছে তাৎক্ষণিক এসএমএস চলে যাবে।’
এই প্রযুক্তি প্রসঙ্গে একটাটেকে কর্মরত একমাত্র বাংলাদেশি ও নির্বাহী পরিচালক মুহাম্মদ সাইফুর রহমান বলেন, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইনটেলিজেন্ট অ্যাটেন্ডেন্স মনিটরিং সিস্টেম ব্যবহারের ফলে শিক্ষার্থীরা স্কুলে প্রবেশ ও বের হওয়ার সময় তাদের অভিভাবক এসএমএস ও ই-মেইলের মাধ্যমে নোটিফিকেশন পাবেন, গাড়িতে বাসায় ফেরার সময় কোথায় অবস্থান করছে তা ট্র্যাকিং করতে পারবেন, ডাটা সার্ভারে প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীর প্রাতিষ্ঠানিক পারফরমেন্স তাৎক্ষণিক দেখতে পাবেন, সিকিউরিটি ডিভাইসে কার্ড পাঞ্চ করার সময় সঠিক ব্যক্তিই ডিভাইসটি ব্যবহার করেছে কি না তা ভিডিও অপশনের মাধ্যমে দেখতে পারবেন।’
তিনি আরও জানান, ইনটেলিজেন্ট অ্যাটেন্ডেন্স মনিটরিং সিস্টেম পদ্ধতিতে কয়েকভাবেই অ্যাটেন্ডেন্স নেয়া যাবে। কেউ চাইলে ফিঙ্গার প্রিন্ট পদ্ধতিতে বা আইডি কার্ডের মাধ্যমে এটি পরিচালনা করতে পারবেন। তবে সেক্ষেত্রে প্রতিটা শিক্ষার্থীর জন্য এমন একটি কোড নম্বর ব্যবহার করতে হবে আইডি কার্ডে যা অন্য কারোর সাথেই মিল থাকবে না।
সাইফুর রহমান আরো বলেন, ‘সিঙ্গাপুরসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একটাটেকের এই ইনটেলিজেন্ট অ্যাটেন্ডেন্স মনিটরিং সিস্টেম ব্যবহৃত হচ্ছে। এবার বাংলাদেশের প্রান্তিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই অটোমেশন পদ্ধতি চালু হবে। একই সঙ্গে বাংলাদেশে একটাটেকের দক্ষিণ এশিয়ার হেড কোয়ার্টার স্থাপনের পরিকল্পনা চলছে।’