ঢাকাবুধবার , ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও অন্যান্য
  5. খেলাধুলা
  6. গল্প ও কবিতা
  7. জাতীয়
  8. তথ্যপ্রযুক্তি
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম ও জীবন
  11. প্রবাস
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ প্রতিবেদন
  15. মুক্তমত
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বিনামূল্যে ই-কমার্স সেবা দেবে ই-ক্যাব

দৈনিক পাঞ্জেরী
ডিসেম্বর ৩১, ২০১৪ ১২:৩৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

E-cabনিজস্ব প্রতিবেদক : ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) ২০১৫ সালকে ‘ই-কমার্স বর্ষ’ হিসেবে ঘোষণা করে চালু করছে ই-কমার্স সেবা কেন্দ্র।
০৯৬১৩ ২২২ ৩৩৩ নম্বরে যোগাযোগ করে যে কেউ বিনামূল্যে এ সেবা কেন্দ্র থেকে ই-কমার্স ব্যবসা সংশ্লিষ্ট তথ্যসহ নানা ধরনের সেবা নিতে পারবেন।
মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ই-ক্যাব আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
ই-ক্যাবের সভাপতি রাজিব আহমেদ বলেন, ‘ই-ক্যাব দেশের প্রথম ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন, যারা প্রথমবারের মতো এ ধরনের সেবাকেন্দ্র খুলে সেবা দিতে যাচ্ছে। দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে যেকেউ এ সেবাকেন্দ্রে যোগাযোগ করে ই-কমার্স সম্পর্কে বিনামূল্যে বিভিন্ন তথ্য জানতে পারবেন।’
‘এই সেবাকেন্দ্রে যেসব সেবা পাওয়া যাবে সেগুলো হলো- নতুন উদ্যোক্তারা ই-কমার্স ব্যবসায় শুরুর সব ধরনের সহযোগিতা, পেমেন্ট গেটওয়ে ও ডেলিভারি সার্ভিস, যেকোন অভিযোগ বা সমস্যা নিয়ে আলোচনা এবং ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট সংক্রান্ত কারিগরি সহযোগিতা।’
রাজিব আহমেদ জানান, ই-কমার্স সেবাকেন্দ্রের কারিগরি সহযোগিতায় রয়েছে ইউনিকো সলিউশন।
দেশে বর্তমানে ৫০০-এর বেশি ই-কমার্স ওয়েবসাইট রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই ই-কমার্স ওয়েবসাইটগুলো ছাড়াও ফেসবুকে অন্তত ৩ হাজার পেজ রয়েছে, যেগুলোর মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য ও সেবা অনলাইনে বিক্রি করছেন।’
‘দেশে এখনো ই-কমার্স জনপ্রিয় হয়ে ওঠেনি। তাই এ খাতকে গতিশীল করতে ই-কমার্সকে গ্রামে-গঞ্জে ছড়িয়ে দিতে হবে। এ লক্ষ্য নিয়েই ই-ক্যাব ২০১৫ সালকে ‘ই-কমার্স বর্ষ’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। ই-কমার্স নিয়ে আমরা বছরব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছি।’
বাংলাদেশে কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) সাবেক সভাপতি ও তথ্য প্রযুক্তিবিদ মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘ই-কমার্স সেবা কেন্দ্র খুবই সময়োপযোগী একটি উদ্যোগ। ই-কমার্স খাতের বিকাশে এ সেবা কেন্দ্রকে জনপ্রিয় করে তুলতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘এক দশকের বেশি সময় ধরে ই-কমার্স থাকলেও এ খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি। বেশির ভাগ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ক্যাশ-অন-ডেলিভারি করে থাকে। অনলাইনে ক্রেডিট কার্ডে লেনদেন করতে এখনো সাধারণ মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। পণ্য ডেলিভারি একটি বিশাল সমস্যা। এসব সমস্যা সমাধানে দরকার সমন্বিত প্রচেষ্টা।’
২০১৬ সালে ই-কমার্স খাত সবচেয়ে সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশনের (আইএসপিএবি) প্রেসিডেন্ট আখতারুজ্জামান মঞ্জু, ই-ক্যাব ডিরেক্টর (গভর্নমেন্ট অ্যাফেয়ার্স) রেজওয়ানুল হক জামী, স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান সারাজীতা প্রমুখ।