ঢাকাবৃহস্পতিবার , ১ জানুয়ারি ২০১৫
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও অন্যান্য
  5. খেলাধুলা
  6. গল্প ও কবিতা
  7. জাতীয়
  8. তথ্যপ্রযুক্তি
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম ও জীবন
  11. প্রবাস
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ প্রতিবেদন
  15. মুক্তমত
আজকের সর্বশেষ সবখবর

হরতাল উপেক্ষা করে চলছে বই উৎসব

দৈনিক পাঞ্জেরী
জানুয়ারি ১, ২০১৫ ১১:১৭ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

Boi-Utsobনিজস্ব প্রতিবেদক : বছরের প্রথম দিনে দেশের বিভিন্ন স্কুলে চলছে বই উৎসব। শিক্ষার্থীরা বিনামূল্যে বই সংগ্রহের জন্য জামায়াতের হরতাল উপেক্ষা করে স্কুলে জড়ো হচ্ছে।
এর আগে ২০১৫ সালের দেশের সকল প্রাথমিক, ইবতেদায়ি, দাখিল, ভোকেশনাল, মাধ্যমিক ও এসএসসি ভোকেশনাল শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণের মাধ্যমে পাঠ্যপুস্তক উৎসব শুরু হয়।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে পাঠ্যপুস্তক উৎসবের উদ্বোধন করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান এবং শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
এ বছর ৪ কোটি ৪৪ লাখ ৫২ হাজার ৩৪৭ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩২ কোটি ৬৩ লাখ ৪৭ হাজার ৯২৩টি বই বিতরণ করা হবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান এবং শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ প্রথম থেকে নবম শ্রেণী পর্যন্ত নয়জন শিক্ষার্থীর মধ্যে নয় সেট বই বিকতরণ করে পাঠ্যপুস্তক উৎসবের উদ্বোধন করেন। এসময় উপস্থিত সাড়ে পাঁচ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে বই বিতরণ করা হয়।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘শিক্ষাক্ষেত্রে বিনিয়োগ বৃথা যায় না। কিছু স্বাধীনতাবিরোধী গোষ্ঠী বই উৎসব ভণ্ডল করতে চেয়েছিল। আমরা তাদের হরতাল প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছিলাম। কিন্তু সারা দেশে শিক্ষার্থীরা তাদের হরতাল প্রত্যাখ্যান করে বই নিতে স্কুলে এসেছে।’
শিক্ষকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘বই বড় কথা নয়। শিক্ষার্থীরা যাতে বইয়ের প্রতি মনোযোগী হয় সেই চেষ্টা করতে হবে। আপনারা তাদের এগিয়ে যাওয়ার পথ দেখাবেন।’
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘আজকের দিনটি একটি ঐতিহাসিক দিন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ২০১০ সাল থেকে আমাদের শিক্ষার্থীরা বিনামূল্যে বই পাচ্ছে। ২০০৯ সালেও শিক্ষার্থীরা টাকা দিয়ে বই কিনতে পারত না। পৃথিবীর কোনো দেশে এত বই দেয়া হয় না। বিশ্বের কাছে শিক্ষাক্ষেত্রে এটি আমাদের একটি বড় অর্জন।’
এসময় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘তোমরা নিজেরা প্রস্তুত হও। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় তোমাদেরকে সোনার বাংলা গড়ে তুলতে হবে।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা সচিব মো. নজরুল ইসলাম খান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব কাজী আখতার হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফাহিমা খাতুন, জাতীয় পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যপুস্তক কারিকুলাম বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবুল কাশেম মিয়া প্রমুখ।
উল্লেখ্য, এবার নবম শ্রেণীর বইয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং অষ্টম শ্রেণীর বইয়ে কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
২০১৫ শিক্ষাবর্ষে প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক স্তরে সম্ভাব্য ২ কোটি ২৯ লাখ ছাত্রছাত্রীর মাঝে বিতরণের জন্য পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণের ব্যবস্থা নেয়া হয়। সম্ভাব্য ছাত্রছাত্রী এবং মোট চাহিদার ৫% বাফার স্টক হিসেবে পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ করা হয়। ২০১৫ শিক্ষাবর্ষের জন্য ৫ লাখ ৮০ হাজার ৩৬১ কপি ইংরেজি ভার্সনের পাঠ্যপুস্তকসহ প্রাথমিক স্তরের ১১ কোটি ৪৩ লাখ ১৩ হাজার ৫৬৩টি পাঠ্যপুস্তক এবং প্রাক-প্রাথমিকের ৬৭ লাখ ৫২ হাজার পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
২০১৫ শিক্ষাবর্ষে পাঠ্যপুস্তক ৯৮টি লটে বিভক্ত করে দরপত্র আহ্বান করা হয়। এর মধ্যে ১৯টি দেশীয় এবং ১টি ভারতীয় মুদ্রণ প্রতিষ্ঠান কার্যাদেশটি পায়। শিক্ষাবর্ষের প্রথম দিনই প্রাথমিক স্তরের ছাত্রছাত্রীদের মাঝে পাঠ্যপুস্তক বিতরণের লক্ষ্যে মুদ্রণের পর জেলায় এবং বিদ্যালয় পর্যায়ের পাঠ্যপুস্তক উপজেলাসমূহে পাঠানো হয়।
এর মধ্যে ১০০% পাঠ্যপুস্তক বিদ্যালয় পর্যায়ে পৌঁছানো হয়েছে। বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনের আওতাধীন সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, বাহরাইন, লিবিয়া, সৌদি আরব, ইতালি, কুয়েতের বিদ্যালয়গুলোতে সরবরাহের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কূটনৈতিক ব্যাগের মাধ্যমে পাঠ্যপুস্তক প্রেরণ করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় গুদাম, বিদেশি মিশন এবং ৫২টি জেলায় ইংরেজি ভার্সনের পাঠ্যপুস্তক পাঠানো হয়েছে।
এ বছর প্রাথমিক শ্রেণীর পাঠ্যপুস্তকের জন্য ২৪৩ কোটি টাকা এবং প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণীর জন্য ২২ কোটি ৭৮ লাখ টাকা ব্যয় হয়।