আন্তর্জাতিক ডেস্ক : এয়ার এশিয়ার বিধ্বস্ত বিমানের ব্ল্যাকবক্স উদ্ধারে সপ্তাহখানেক সময় লাগবে। বৃহস্পতিবার জাতীয় পরিবহণ নিরাপত্তা কমিটির এক কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।
সুরাবায়ার জুয়ানডা বিমানবন্দর থেকে সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরে যাওয়ার পথে স্থানীয় সময় রোববার সকালে নিখোঁজ হয় এয়ার এশিয়ার এয়ারবাস ৩২০-২০০ মডেলের বিমানটি। এতে ১৬২ জন যাত্রী ছিল। ব্যাপক অনুসন্ধানের পর এটি জাভা সাগরে বিধ্বস্ত হয়েছে বলে মঙ্গলবার নিশ্চিত হয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। ইতোমধ্যে বোর্নিও দ্বীপ উপকূল এলাকা থেকে সাতজন অরোহির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার সমুদ্র উত্তাল থাকার কারণে অভিযান সাময়িক বন্ধ রয়েছে।
সমুদ্রের তলদেশে ৩০ থেকে ৫০ মিটার গভীরে বড় ধরনের কোনকিছুর খোঁজ পাওয়া গেছে। উদ্ধারকারীরা সেখানে তল্লাশি চালানোর জন্য অপেক্ষা করছেন। অনুসন্ধানকারীদের ধারণা এটিই এয়ার এশিয়ার বিধ্বস্ত হওয়া বিমানের কাঠামো। বিমানটি ঠিক কি কারণে জাভা সমুদ্রে বিধ্বস্ত হয়েছে তা উদ্ঘাটন করার জন্য ব্ল্যাকবক্সটি উদ্ধার করতে হবে।
এয়ার এশিয়ার শীর্ষ কর্মকর্তা টনি ফার্নান্দেজ এক টুইটারবার্তায় বৃহস্পতিবার বলেন, ‘আমি আশা করছি, সর্বশেষ তথ্য সঠিক এবং বিমানটি পাওয়া যাবে।’ তিনি আরো লিখেন, ‘আসুন সবাই একসঙ্গে আশায় বুক বাঁধি। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
তবে জাতীয় পরিবহন নিরাপত্তা কমিটির বিমান চলাচল নিরাপত্তা বিষয়ক তদন্তকারী টুস সানিটিয়োসো বলেন, ব্ল্যাকবক্স ও ভয়েস রেকর্ডার খুঁজে পেতে সপ্তাখানেক সময় লাগতে পারে। তিনি বিমানের অবস্থান সম্পর্কে এখনো সন্দেহমুক্ত নন বলে জানিয়েছেন।
সানিটিয়োসো সাংবাদিকদের বলেন, ‘ধ্বংসাবশেষ কোথায় পাওয়া যাবে সেটি খুঁজে বের করা হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আর তারপর ব্ল্যাকবক্সের খোঁজ।’
কেউই এখনো পর্যন্ত ব্ল্যাকবক্সের সংকেত সনাক্ত করার কথা বলতে পারেননি বলেও জানান তিনি। ব্ল্যাকবক্স উদ্ধারে দুটি ধাপ রয়েছে। প্রথমত আমরা ধ্বংসাবশেষের বড় অংশের খোঁজ পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছি।’
অনুসন্ধান কর্মকর্তা সুনারবোয়ো সান্ধি জানান, কোন লক্ষ্য স্থির না করে ডুবুরিদের সমুদ্রের নিচে পাঠানো ঠিক হবে না। এটি স্থির না করে তারা যাবে না। ডুবুরিরা অনুসন্ধান চালাচ্ছে না।
ডুবুরিদের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট ইদি তিরকায়াসা বলেন, বাজে আবহাওয়া উদ্ধার কার্যক্রমকে দূরহ করে ফেলছে।