ঢাকাবৃহস্পতিবার , ১ জানুয়ারি ২০১৫
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও অন্যান্য
  5. খেলাধুলা
  6. গল্প ও কবিতা
  7. জাতীয়
  8. তথ্যপ্রযুক্তি
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম ও জীবন
  11. প্রবাস
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ প্রতিবেদন
  15. মুক্তমত
আজকের সর্বশেষ সবখবর

নববর্ষ নিয়ে বিভিন্ন দেশের সংস্কার

দৈনিক পাঞ্জেরী
জানুয়ারি ১, ২০১৫ ১২:৩৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

happy-new-yearলাইফস্টাইল ডেস্ক : বর্ষবরণের প্রস্তুতিতে এতটুকু কমতি নেই বিশ্বজুড়ে! সূর্য ডুবতেই শুরু হয়ে গেছে পার্টি, আতসবাজি, হইহুল্লোড়।‌ তবে বেশ কিছু দেশে বর্ষবরণের রীতির মধ্যে রয়েছে ভিন্নতা।‌ মজার‌ বর্ষবরণ নিয়ে দেশভেদে রয়েছে মজার কিছু সংস্কারও।‌
ফ্রান্সের বর্ষবরণ
বছরের শেষ দিনে ঘরে থাকা সব মদ শেষ করতেই হবে।‌ নতুন বছরে ঘরে পুরনো মদ পড়ে থাকা অশুভ।‌ সৌভাগ্য ঘরে আসবে না।‌ তবে ঘরে-থাকা মদ ফেলে দিলেও তো চলবে না।‌ খেয়েই শেষ করতে হবে পুরোটা।‌ মদে মশগুল রাত, নতুন ভোর, আ..হা!
প্যারাগুয়ের বর্ষবরণ
সেখানে বছরের শেষ পাঁচদিন তাদের চুলায় কোনো আগুন জ্বলে না।‌ হয় না কোনো রান্না।‌ ওই পাঁচদিনকে তারা পালন করে ঠাণ্ডা খাবার খাওয়ার দিন হিসেবে। ‌৩১ ডিসেম্বর রাত ১২টার পর নতুন বছরের ঘণ্টা বাজলে আগুন জ্বেলে তবে নতুন নতুন পদ, পরিবারের সবাই একসঙ্গে খেয়ে নতুন বছরে পা।
পোল্যান্ডের বর্ষবরণ
পোল্যান্ডের বর্ষবরণটা বেশ মজার।‌ এখানকার তরুণীরা বর্ষবরণের রাতে খরগোশের মতো পোশাক পরে জড়ো হয়।‌ এরপর খরগোশের মতো লাফিয়ে লাফিয়ে বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি জোগাড়ের পালা।‌ তারপর ওই শাকসবজির যতোটা সম্ভব চিবিয়ে খায়! তাদের ধারণা, শাকসবজি খেয়ে নতুন বছরে পা দিলে নতুন বছরের দিন সুন্দর হবে।‌ থাকবে শান্তি।‌
বুলগেরিয়া
আমাদের দেশে হাঁচি নিয়ে নানা সংস্কার আছে।‌ কথার মাঝে হাঁচি পড়লে সেটা সত্যি হাঁচি।‌ কথাটা সত্যি।‌ আবার কোথাও বেরনোর সময় হাঁচি পড়ল, তো সেটা অমঙ্গলসূচক।‌ কিন্তু বুলগেরিয়াবাসীর কাছে বর্ষবরণের দিন হেঁচে ফেলাটা বেশ মঙ্গলের।‌ বর্ষবরণের দিন তাদের বাড়িতে আসা কোনো অতিথি যদি হেঁচে ফেলেন, তাহলে বাড়ির কর্তা তাকে নিজের খামারে নিয়ে যান।‌ এরপর হেঁচে-ফেলা ব্যক্তির প্রথম নজর খামারে যে পশুটির ওপর পড়বে, সেই পশুটিকে গৃহকর্তা তাকে উপহার দেন।‌ ভাগ্য সঙ্গ দিলে অনেক অতিথি ঘোড়াও উপহার হিসেবে পেয়ে থাকেন।‌ বুলগেরিয়ানদের ধারণা, হেঁচে-ফেলা অতিথি পুরো পরিবারের জন্য সুখ ও সমৃদ্ধি নিয়ে আসবেন।‌
হাঙ্গেরি
বছরের শেষ দিন হাঙ্গেরিবাসী হাঁস, মুরগি বা কোনো ধরনের পাখির মাংস খান না।‌ তাদের মতে, ওইদিন উড়তে পারে এমন পাখির মাংস খেলে নতুন বছরে জীবন থেকে সব সৌভাগ্য উড়ে যাবে! এর পাশাপাশি, তারা নতুন বছরে পরিচিত বা বন্ধুদের যে উপহার দেন, তাতে চিমনি পরিষ্কার করছেন এমন একজন শ্রমিকের ছবি থাকে।‌ তাদের ব্যাখ্যা, উপহারে এই ছবিটি থাকলে পুরনো বছরের সমস্ত দুঃখ নতুন বছরে মুছে যাবে।‌
ভিয়েতনাম
দেশটির উত্তরে কিছু সংখ্যালঘু জাতি রয়েছে, যারা বছরের শেষ দিনে জলাধারে দল বেঁধে গিয়ে মোমবাতি জ্বেলে মাটিতে মাথা ছুঁইয়ে প্রণাম করে। পরে তারা সেই জলাধার থেকে এক কলসী পানি নিয়ে আসে।‌ এরপর ওই পানি দিয়ে বছরের প্রথম দিন রান্না করে পূর্বপুরুষদের উদ্দেশে উৎসর্গ করে। তারপর নিজেরা খায়।‌ তবে বছরের প্রথম দিনের রান্নায় স্যুপ জাতীয় খাবার থাকা চলবে না।‌ বছরের প্রথম দিন স্যুপ জাতীয় খাবার খেলে নাকি মাঠের ফসল বন্যায় ভেসে যাবে।
মাদাগাস্কার
আফ্রিকার দেশ মাদাগাস্কারায় নতুন বছর শুরুর সাতদিন আগে থেকে মাংস খাওয়া বন্ধ।‌ বছরে প্রথম দিন বাড়িতে মুরগির মাংস রান্না হবে।‌ প্রথমে তা খেতে দেয়া হয় বাবা-মাকে।‌ তাদের দেয়া হয় মুরগির লেজের দিকের অংশটা‌ আর ভাই-বোনেদের দেয়া হয় মুরগির পা।‌‌