ঢাকাবৃহস্পতিবার , ১ জানুয়ারি ২০১৫
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও অন্যান্য
  5. খেলাধুলা
  6. গল্প ও কবিতা
  7. জাতীয়
  8. তথ্যপ্রযুক্তি
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম ও জীবন
  11. প্রবাস
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ প্রতিবেদন
  15. মুক্তমত
আজকের সর্বশেষ সবখবর

লাগাম নেই ব্র্যাক ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের স্প্রেডে

দৈনিক পাঞ্জেরী
জানুয়ারি ১, ২০১৫ ২:২৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

stander bankনিজস্ব প্রতিবেদক : লাগামহীনভাবে বেড়েই যাচ্ছে বেসরকারি খাতের ব্র্যাক ব্যাংক ও বিদেশি স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের আমানত ও ঋণের সুদ হারের ব্যবধান (স্প্রেড)। নভেম্বর শেষে ব্যাংক খাতে গড় স্প্রেডের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ১৭ শতাংশ।
আর ব্র্যাক ব্যাংক ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের এ ব্যবধান দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১০ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ ও ১০ দশমিক ৬৫ শতাংশ। ব্যাংক দুটির স্প্রেডের এ হার বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত সীমার দ্বিগুণেরও বেশি।
২০১২ সালের জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সব ব্যাংকের স্প্রেড ৫ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনার নির্দেশ দেয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের স্প্রেড সংক্রান্ত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
অক্টোবর মাসে এ ব্যাংকদুটির স্প্রেড ছিল যথাক্রমে ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশ ও ৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ।
এদিকে নভেম্বর শেষে গোটা ব্যাংক খাতেই আমানত ও ঋণের সুদের যে ব্যবধান দাঁড়িয়েছে তা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্ধারিত সীমা এবং অক্টোবরের চেয়ে বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী সুদ হারের ক্ষেত্রে ২৮টি নির্দেশনা অমান্য করে কম সুদে আমানত সংগ্রহ করে বেশি সুদে ঋণ বিতরণ করেছে। এর ফলে বেড়ে গেছে গড় স্প্রেড।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্যাংক ঋণের ঊর্ধ্বমুখি সুদহারের কারণে বিনিয়োগ ও ব্যবসা-বাণিজ্যে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। ঋণের সুদহার বেশি হওয়ায় উদ্যোক্তারা ব্যাংকবিমুখ হয়ে পড়ছেন। ফলে দেশে নতুন বিনিয়োগ হচ্ছে না। সেইসঙ্গে নতুন কর্মসংস্থানও সৃষ্টি হচ্ছে না। এর ফলে ব্যাংকের মুনাফায়ও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
ব্যাংকারদের মতে, বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ কম থাকায় ব্যাংকগুলোতে অলস অর্থ পড়ে থাকলেও আমানতকারীদের নিয়মিতভাবে সুদ পরিশোধ করতে হচ্ছে। ফলে ব্যাংকের পরিচালনা ব্যয়ও বেড়ে যাচ্ছে। এ কারণে তারা আমানতে সুদের হার কমালেও ঋণে কমাতে পারছেন না।
বেসরকারি ব্যাংকগুলোর ঋণে গড় সুদ হার কিছুটা কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ যা আগের মাসে ছিল ১৩ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ। আর আমানতের গড় সুদহার কমে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৬০ শতাংশে। এতে তাদের স্প্রেড দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৪৫ শতাংশে। ৎ
বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিবেদনে গড় স্প্রেড বেড়ে যাওয়ার জন্য যে ২৮টি ব্যাংককে দায়ী করেছে সে ব্যাংকগুলো হলো- এবি ব্যাংক (৫ দশমিক ৭৬ শতাংশ), দ্য সিটি ব্যাংক (৬ দশমিক ৪৭ শতাংশ), আইএফআইসি ব্যাংক (৬ দশমিক ১৩ শতাংশ), পূবালী ব্যাংক (৫ দশমিক ৪০ শতাংশ), উত্তরা ব্যাংক (৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ), ইস্টার্ন ব্যাংক (৫ দশমিক ১৭ শতাংশ), এনসিসি ব্যাংক (৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ), প্রাইম ব্যাংক (৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ), সাউথইস্ট ব্যাংক (৫ দশমিক ১৭ শতাংশ), ঢাকা ব্যাংক (৫ দশমিক ১৮ শতাংশ), স্যোসাল ইসলামী ব্যাংক (৫ দশমিক ১৩ শতাংশ), ডাচ বাংলা ব্যাংক (৭ দশমিক ৪১ শতাংশ), ওয়ান ব্যাংক (৭ দশমিক ১৭ শতাংশ), এক্সিম ব্যাংক (৫ দশমিক ৭৪ শতাংশ), বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক (৫ দশমিক ৫২ শতাংশ), প্রিমিয়ার ব্যাংক (৬ দশমিক ৬২ শতাংশ), ব্যাংক এশিয়া (৫ দশমিক ১০ শতাংশ), ট্রাস্ট ব্যাংক (৫ দশমিক ৩৭ শতাংশ), যমুনা ব্যাংক (৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ), মিডল্যান্ড ব্যাংক (৫ দশমিক ৩১ শতাংশ), ইউনিয়ন ব্যাংক (৫ দশমিক ১ শতাংশ) এবং মধুমতি ব্যাংক (৫ দশমিক ৩২ শতাংশ)।
এ ছাড়া বিদেশি মালিকানার ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (৬ দশমিক ২২ শতাংশ), সিটি ব্যাংক এন.এ. (৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ), কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলন (৬ দশমিক ৪৯ শতাংশ), ওরি ব্যাংক (৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ), এইচএসবিসি ব্যাংক (৬ দশমিক ৭৪ শতাংশ)।
বিদেশি মালিকানার এই ব্যাংকগুলোর ঋণ-আমানতের গড় ব্যবধান দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ১১ শতাংশে। যা আগের মাসে ছিল ৭ দশমিক ৯৮ শতাংশ। এ ব্যাংকগুলোর আমানতের সুদহার ৩ দশমিক ৭০ শতাংশ এবং ঋণের সুদহার কিছুটা বেড়ে ১১ দশমিক ৮১ শতাংশ দাঁড়িয়েছে।
স্প্রেড বেড়ে যাওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে বিশেষায়িত ব্যাংক বেসিককে দায়ী করা হয়েছে। নভেম্বর শেষে এ ব্যাংকটির স্প্রেড দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
এদিকে, রাষ্ট্রীয় মালিকানার চার ব্যাংকের ঋণে গড় সুদ হার দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৬৭ শতাংশে। আমানতে সুদ হার ৭ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। এতে তাদের স্প্রেড দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৫৯ শতাংশ।