নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স (বিএনএ) এর চেয়ারম্যান এবং সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা বলেছেন, ‘এ দেশ কার বাপের সম্পত্তি যে মানুষ নিষ্পেষিত হবে আর সবার মৌলিক অধিকারটুকু পর্যন্ত কেড়ে নেয়া হবে? আমরা তা হতে দেব না। দেশের ছোট ছোট দলগুলো একত্র হয়ে দুই (হাসিনা ও খালেদা) নেত্রীর হাত থেকে আমরা মানুষের অধিকার ও গণতন্ত্রকে ছিনিয়ে আনবো। তাই ৭ জানুয়ারি আমরা দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে জাতীয় ঐক্যজোটের ঘোষণা দিতে যাচ্ছি।’
শুক্রবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত ‘৫ জানুয়ারি গণতন্ত্রের বিজয় ও গণতন্ত্রের হত্যা দিবস বিতর্ক: আমাদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আলোচনা সভাটির আয়োজন করে ন্যাশনাল লেবার পার্টি (এনএলপি)। সভায় ব্যারিস্টার নাজমুল হুদাকে মানবাধিকারের জনক আখ্যা দিয়ে তাকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
হুদা বলেন, ‘দেশের প্রধান দুই নেত্রী নিজেদের স্বার্থের বাইরে কোনো কথা বলেন না। তাদের একজন ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলেন আর অন্যজন আন্দোলনের কথা বলে দেশে উত্তরাধিকারের রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করতে চান। কিন্তু দেশের শোষিত জনগণ তা হতে দেবে না।’
৭ জানুয়ারি জাতীয় ঐক্যজোট ঘোষণা করা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এবার আমি একা নই, দেশের ছোট ছোট দলগুলোকে জাতীয় ঐক্যজোটের প্লাটফর্মে নিয়ে এসে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে গণতান্ত্রিক ও মৌলিক অধিকারসহ সব অধিকার ফিরিয়ে আনবো। বাংলাদেশকে প্রকৃত মানবাধিকারের দেশ হিসেবে গঠন করবো।’
এ সময় তিনি সভায় উপস্থিত এএলডিপি, গণসংগ্রাম পরিষদ, বাংলাদেশ মুসলিম দল, গণতান্ত্রিক আন্দোলন, বাংলাদেশ মানবাধিকার পার্টি, বাংলাদেশ ইনসাফ পার্টি ও আয়োজক সংগঠনসহ ১২টি দল এবং দেশে যত ছোট দল আছে সবাইকে জাতীয় ঐক্যেজোটে আসার আহ্বান জানান।
আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ জিয়ার সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য দেন বাংলাদেশ কৃষক-শ্রমিক আওয়ামী লীগের (বাকশাল) চেয়ারম্যান মাহবুবে আলম, বাংলাদেশ স্বাধীন পার্টির চেয়ারম্যান সম্রাট জুয়েল চিশতি, ইনসাফ পার্টির চেয়ারম্যান শহীদ চৌধুরী প্রমুখ।