বিনোদন প্রতিবেদক : ‘উতলা মন’ নামে নির্মিতব্য চলচ্চিত্রের প্রযোজক আব্দুল আওয়ালের বিরুদ্ধে ‘চুক্তিভঙ্গ’, ‘অনৈতিক প্রস্তাব’, ‘হুমকি’র অভিযোগ এনেছেন চলচ্চিত্রটিরই নায়িকা নবাগতা রোমানা ইসলাম নীড়।
একই সঙ্গে তার ‘অশালীন’ ছবি বানিয়ে পোস্টার তৈরি করে ছড়িয়ে দেওয়ার ‘হুমকি’র অভিযোগ এনে প্রযোজকের নামে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) দায়ের করেছেন নীড়। ৩১ ডিসেম্বর রমনা থানায় তিনি এ জিডি করেন। একই অভিযোগে খুব শিগগিরই মামলা দায়ের করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
আনোয়ার সিরাজী পরিচালিত ‘উতলা মন’ চলচ্চিত্রে নিজেকে ‘প্রধান নায়িকা’ হিসেবে দাবি করে নীড় বলছেন, ‘আমার সঙ্গে চুক্তি হয়েছে আমিই থাকছি প্রধান নায়িকা। কিন্তু সিনেমার সেটে গিয়ে দেখতে পাই মনিকা নামের আরেক নায়িকাকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন প্রযোজক। পরিচালক আপত্তি জানালে, প্রযোজক বলছেন মনিকাকে প্রাধান্য না দেওয়া হলে তিনি সিনেমা বন্ধ করে দেবেন।’
নীড় বলছেন, ‘সিনেমার শুটিং চলাকালে প্রযোজক একাধিকবার আমার প্রতি অশালীন ইঙ্গিত করেছেন। সর্বশেষ তিনি এফডিসিতে শুটিং চলাকালে আমাকে সরাসরিই কুপ্রস্তাব দেন, যা আমার কাছে ভীষণ অপমানজনক মনে হয়েছে। নিজেকে নিয়ন্ত্রন করতে না পেরে আমি প্রযোজকের গালে জুতা মেরে বসি।’
নীড় দাবি করছেন, সেদিনের সেই ঘটনার পর নীড় প্রযোজকের কাকরাইলের অফিসে গিয়ে তিনি দেখতে পান, তার ‘অজান্তেই’ সিনেমার একটি পোস্টারে অন্য একটি মেয়ের ‘অশালীন’ ছবিতে নীড়ের মুখের ছবি ‘জুড়ে’ দেওয়া হয়েছে, যা তার কাছে ‘মানহানিকর’ মনে হচ্ছে।
প্রযোজক তাকে ‘ক্রমাগত হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন’ বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
নবাগতা নীড়ের এসব অভিযোগ নিয়ে কথা বলতে প্রযোজকের প্রতিষ্ঠান আওয়াল চলচ্চিত্রে গিয়ে প্রযোজক কিংবা পরিচালকের দেখা পাওয়া যায়নি।
মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে অবশেষে তাকে পাওয়া যায়। কিন্তু নীড়ের অভিযোগ ‘অস্বীকার’ করে প্রযোজক আব্দুল আওয়াল বলেন, ‘নীড় আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ এনেছে সব মিথ্যা। আমি নীড়কে কখনো কোনো অনৈতিক প্রস্তাব দিই নি। উল্টো নীড় সিনেমার সেটে আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে।’
নীড়ের অন্যান্য অভিযোগগুলো নিয়ে কথা বলতে চাইলে তিনি এড়িয়ে গিয়ে যোগাযোগ করতে বলেন পরিচালক আনোয়ার সিরাজীর সঙ্গে।
আনোয়ার সিরাজী প্রযোজকের কথায় সায় দিয়ে বলেন, ‘আমার সেটে প্রযোজক কখনোই নীড়কে অনৈতিক প্রস্তাব দেননি। প্রযোজক কখনো নীড়কে হুমকি দেননি। নীড় মিথ্যা কথা বলছে।’
এ বিষয়টি নিয়ে আবার নীড়ের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, ‘কে সত্যি আর কে মিথ্যা বলছে, তার সব প্রমাণই আমার কাছে রয়েছে। সময়মতো আদালতে সব প্রমাণ হাজির করব।’
একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের চলচ্চিত্র বিভাগের ছাত্রী নীড় ২০১৩ সালে ‘আড়ং’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে আসেন। তার অভিনীত আরেকটি চলচ্চিত্র ‘ভালোবাসলে দোষ কি তাতে’ মুক্তি পেয়েছে ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে। তিনি ‘স্বজনহারা’ নামে একটি সিনেমাতেও অভিনয় করছেন।