ঢাকাশুক্রবার , ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও অন্যান্য
  5. খেলাধুলা
  6. গল্প ও কবিতা
  7. জাতীয়
  8. তথ্যপ্রযুক্তি
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম ও জীবন
  11. প্রবাস
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ প্রতিবেদন
  15. মুক্তমত
আজকের সর্বশেষ সবখবর

এবার সবজিতে কৃষকের হাসি

দৈনিক পাঞ্জেরী
সেপ্টেম্বর ৫, ২০১৪ ১২:২০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

পটল {focus_keyword} এবার সবজিতে কৃষকের হাসিরাজশাহী প্রতিনিধি

গেলো বছর সবজি চাষ করে চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও এবার দাম ভাল পাওয়ায় এখন রাজশাহীর কৃষকদের মুখে সস্তির হাসি। ইতোমধ্যেই শীতের সবজি বাজারে তুলতে শুরু করেছেন চাষিরা। এতে বাড়তি দাম পাচ্ছেন তারা। ফলে অনেক চাষিই আরও বেশি জমিতে সবজি চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ মৌসুমে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় প্রায় ৮ হাজার হেক্টর জমিতে সবজির আবাদ হয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে প্রায় ৫০০ হেক্টর বেশী। এছাড়া রবি মৌসুম চাষের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ১৫ হাজার হেক্টর।

সবজি চাষে লাভবান হওয়া কৃষকরা জানায়, গতবার কোন সবজি চাষের পর বাজারে এনে লাভ তো দুরের কথা শ্রমিক খরচ তোলাই দায় হয়েছে। এমনও দিন গেছে সবজি বিক্রি করে ভ্যান ভাড়াও হয়নি। খাজনা অনেক সময় পকেট থেকে গুনতে হয়েছে। পাশাপাশি নিজের পরিশ্রমতো বৃথাই। কিন্তু এবার দাম ভালই পাচ্ছেন তারা।

মোহনপুর উপজেলার আকুবাড়ি গ্রামের সবজি চাষি আবু বাক্কার বলেন, ‘গতবার নওহাটা হাটে ১১ মণ পটল বিক্রি করেছিলাম মাত্র ৩০০ টাকায়। কিন্তু গতকাল বৃহস্পতিবার নওহাটা বাজারে ১ মণ পটল বিক্রি করেছি ১ হাজার টাকায়।’এতে তিনি মহাখুশি। আগামী বছর আরও বেশি জমিতে সবজি চাষের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেও জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘গতবার লোকসান হলেও প্রকৃত চাষিরা হাল না ছেড়ে লোকসান ঘুচিয়ে লাভের আশায় ও দীর্ঘ দিনের সবুজ ফসল আবাদের মায়ায় না ছাড়তে পারায় সবজি আবাদ করেছেন। এতে তার ভাল ফলন ও দামও পেয়েছেন।’

মোহনপুরের বজরপুর গ্রামের আবুল হোসেন জানান, মাত্র ১০ কাঠা জমিতে পটল করে তিনি ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন। তার ক্ষেতে এখনো অনেক পটল আছে।

পবার এলকার পটল চাষি আফাজ উদ্দিন সরকার বলেন, এবারে মৌসুমের শুরু থেকেই প্রতিটি ফসলের দাম ভাল পেয়েছি।

পবার সবজি ভান্ডার খ্যাত এলাকা দাদপুর গ্রামের বিপ্লব কুমার জানান, মাঠ থেকেই পাইকাররা সবজি কিনে নিচ্ছেন। এতে বাজারে আনার ভাড়া ও খাজনা দুটোই সাশ্রয় হচ্ছে। তবে ভুট্টার দাম কম ছিল বলে জানিয়েছেন চাষিরা।

গত কয়েকদিনে জেলার নওহাটা, মৌগাছী ও কানপাড়া বাজারে গিয়ে দেখা যায়, প্রতি মণ পটল পাইকারি বিক্রি হয়েছে সাড়ে ৮০০ থেকে এক হাজার ১৫০ টাকায়। প্রতি মণ করলা বিক্রি হয়েছে এক হাজার ২৫০ টাকা থেকে এক হাজার ৩৫০ টাকায়, প্রতি মণ কচু ৮০০ টাকায়, প্রতি মণ কাকরোল বিক্রি হয়েছে এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৪০০ টাকায়, প্রতি মণ বরবটি বিক্রি হয়েছে ৯৫০ থেকে এক হাজার ১৫০ টাকা, প্রতি মণ বেগুন বিক্রি হয়েছে এক হাজার ২৫০ থেকে এক হাজার ৪৫০ টাকায়, মুলা প্রতিমণ এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৪০০ টাকা, ঢেঁড়স প্রতিমণ দেড় হাজার থেকে এক হাজার ৬০০ টাকায়, লাউ ও কুমড়া প্রতিটি ৩০ টাকা করে বিক্রি হয়েছে। যা গত বারের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি বলে জানিয়েছেন বিক্রে-বিক্রেতারা।

এবার কৃষকরা তাদের সবজির দাম ভাল পাওয়ার বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘কৃষকরা ফসলের দাম ভাল পেলে সবারই ভাল লাগে। তাদের মধ্যে ফসল চাষের আগ্রহ বেড়ে যায়। তবে কৃষি ফসলের দাম একই রকম থাকে না। উৎপাদন ও আমদানির উপর অনেকটা নির্ভর করে। আমাদের সকলের উচিৎ হবে কৃষি ফসলের দাম মধ্যসত্ত্বভোগিদের পকেটে যেন না যায় সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখা।’