রাজশাহী প্রতিনিধি : রাজশাহী অঞ্চলের চাষীরা আমগাছ পরিচর্যায় ব্যস্ত। অল্প দিনের মধ্যেই গাছে গাছে মুকুলে ছেয়ে যাবে। কিন্তু নগরীর পিএন সরকারি বালিকা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে দেখা গেলো ভিন্ন এক চিত্র। আমগাছটিতে মুকুল পেরিয়ে এসেছে গুটি আম।
পিএন সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কয়েকজন জানান, মাসখানিক আগেই গাছে মুকুল এসেছিল। এরপরে সেই মুকুল থেকে গুটি। স্কুলের বাউন্ডারির ভেতরে ৩ থেকে ৪টি আমের গাছ আছে। ওই গাছগুলোর মধ্যে একটি গাছে চার থেকে পাঁচটি শাখায় আমের গুটি ধরেছে।
পৌষ মাসের মাঝামাঝিতে গাছে আমের গুটি বিষয়টি বেশ গুরুত্বের সঙ্গেও নিচ্ছেন রাজশাহী ফল গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আব্দুল আলিম।
প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আব্দুল আলিম জানান, এ সময় সাধারণত গাছে কোনো গুটি দেখা যায়না। তবে নতুন কোনো জাত হতে পারে বলে তিনি ধারণা করছেন। এ সময় যেসব আগাম জাত আছে সেগুলোতে অল্প দিনের মধ্যে মুকুল আসবে।
তিনি আরো জানান, দেশে সরকার অনুমোদিত জাত আমের সংখ্যা ১০টি। এছাড়াও ল্যাংড়া, ফজলিসহ বিভিন্ন ধরনের জাতের আম আছে। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের আটি আমের শতাধিক জাত দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।
রাজশাহী ফল গবেষণা ইনস্টিটিউটের সংরক্ষণেই ৮০টি মতো দেশীয় জাত আছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম গবেষণা ইনস্টিটিউটের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ মোশারফ হোসেন জানান, এ ধরনের কোনো জাত নেই। বিষয়টি তার কাছে নতুন লাগছে। অনেক সময় এভাবেই নতুন জাত আবিষ্কার হয়। তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি দেখবেন বলে জানিয়েছেন।