নিজস্ব প্রতিবেদক : বাণিজ্যমেলায় দর্শনার্থীর আনাগোনা নেই। রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রভাব এখানেও। মেলার শুরুতেই এমন পরিস্থিতিতে আশঙ্কায় আছেন ব্যবসায়ীরা।
এর আগে গতবছর রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বাণিজ্যমেলা পিছিয়ে দিতে হয়েছিল। কিন্তু এবার নির্ধারিত সময়েই শুরু হয়। কিন্তু বড় দুই দলের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে ৫ জানুযারি নিয়ে দুই দলের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির কারণে রাজধানীসহ সারাদেশে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকে। এতে করে মানুষের দুর্ভোগের কমতি ছিল না। এছাড়া বিছিন্ন সংঘর্ষের ঘটনাও জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। এসব কারণে বাণিজ্যমেলায় দশনার্থীদের উপস্থিতি নেই।
সরেজমিনে দেখা গেছে, আগের কয়েকদিনের মতো সোমবার দর্শনার্থীদের উপস্থিতি ছিল না। বিকেল পর্যন্ত বাণিজ্যমেলা প্রাঙ্গণ ছিল একেবারেই ফাঁকা। মেলায় বিভিন্ন প্যাভিলিয়ন, স্টল কর্মকর্তা কর্মচারীদের অলস সময় কাটাতে দেখা গেছে।
মেলায় অংশগ্রহণকারী ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপকালে তারা জানান, প্রতি বছর মেলা এক মাস চলে। এর মধ্যেই লাভ ক্ষতির হিসাব মিলাতে হয়। এবারের মেলা উদ্বোধনের প্রথম দিকে দর্শনার্থীর উপস্থিতি মোটামুটি ভালো ছিল। কিন্তু রাজনৈতিক যে অস্থিরতা শুরু হয়েছে তাতে মনে হচ্ছে এবার ব্যবসা করা দুষ্কর হয়ে পড়বে। তাই ব্যবসায়িদের ক্ষতি হয় এমন কর্মসূচি না দেয়ার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানান তারা।
মেলায় অংশগ্রহণকারী এলয় ইন্টারন্যাশনাল এলুমিনিয়ামের ফার্নিচার বিক্রি করে। প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার পঙ্কজ হালদার জানান, মেলা শুরু হওয়ার পর সরকারি ছুটি থাকায় দর্শনার্থীদের উপস্থিতি তুলনামূলক বেশি ছিল। এতে বেচাকেনা মোটামুটি ভালো হয়েছে। কিন্তু গতকাল (রোববার) বিকেল থেকে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ কারণে মেলায় আসার ইচ্ছে থাকলেও দর্শনার্থীরা আসতে পারছে না।
মেলার শিশুপার্ক-২ এ দায়িত্বরত বেলাল আহমেদ জানান, গতকাল অনেক শিশু এসেছিল কিন্তু আজ (সোমবার) সারাদিন কোনো বাচ্চা পার্কে আসেনি। তিনি পাল্টা প্রশ্ন করেন, আজ কি হরতাল? তাহলে মেলায় লোকজন কম কেন?
ব্যবসায়িদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই এর ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. হেলাল উদ্দিন জানান, রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মসূচি থাকবে এটা স্বাভাবিক। কিন্তু ব্যবসা বাণিজ্য ও জনগণের ক্ষতি করে এমন কর্মসূচি থেকে রাজনৈতিক দলগুলো বেরিয়ে এসে বিকল্প কর্মসূচির কথা চিন্তা করা উচিৎ বলে মনে করেন তিনি।