লাইফস্টাইল ডেস্ক : তোমায় গান শোনাবো, তাইতো আমায় জাগিয়ে রাখো, ওগো ঘুম ভাঙানিয়া, তোমায় গান শোনাবো…
পুরুষ শাসিত সমাজে নিঃশব্দে কেঁদে যায় শত পুরুষের করুন আকুতি। নিজের অজান্তেই শক্তি সামর্থবান পুরুষ নির্ভরশীল হয়ে পড়ে দুর্বলকায় বিপরীত লিঙ্গের ওপর। কখনো তাদের কাছ থেকে পাওয়া কষ্টে দুমড়ে-মুচড়ে থাকে আহত হৃদয়। তবু পুরুষরা তাদের মনের গোপন কষ্টগুলো প্রকাশ করার চেয়ে চেপে রাখতেই বেশি পছন্দ করেন। যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া ইউনিভার্সিটির মনোবিজ্ঞানী টিমোথি উইলসন তার বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন সহযোগীর সহায়তায় এক গবেষণার পর এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন।
তারা মোট ১১ ধাপে পরিচালিত গবেষণার ফল নিয়ে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছান। তারা আবিষ্কার করেছেন, মনের দুঃখ কারো সঙ্গে ভাগাভাগি করার পরিবর্তে পুরুষরা হয় দুঃখটাকে সহনীয় সীমায় আনতে চায় অথবা দুঃখজয়ের দিবাস্বপ্নে মশগুল থাকে।
টিমোথি উইলসন বলেন, প্রথম গবেষণায় অংশ নেয়া অধিকাংশ ভলান্টিয়ার ছিলেন কলেজ শিক্ষার্থী। তারা সবাই বলেছেন, মানসিক কষ্ট নিয়ে একনাগাড়ে বেশিক্ষণ চিন্তা করা যায় না, আবার এসব চিন্তা উপভোগেরও নয়। মনোকষ্টে থাকলে কোনো কিছুতে মনোযোগ দেয়াও বেশ কঠিন কাজ। বরং খারাপ কোনো কাজে উৎসাহ আসে।
উইলসন গবেষণার ফল পেয়ে অবাক হয়ে যান। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন ধাপে গবেষণার পর দেখতে পাই, পুরুষরা তাদের মনের দুঃখগুলো চেপে রেখে নানা জাগতিক তৎপরতায় নিজেদের জড়িয়ে ফেলেন। অথচ আধুনিক যুগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো এতো সহজলভ্য হওয়া সত্যেও পুরুষ মনের কথা বলে বেড়ান না’।