ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক :
কার্যকর প্রতিষেধক আবিষ্কৃত হওয়ার পর আফ্রিকার দরিদ্রতম দেশগুলোয় পৌঁছুচ্ছে না সে সেবা। সিয়েরা লিওন ইতোমধ্যে আবারও এবোলার কাছে আত্মসমর্পনে বাধ্য হয়েছে। দেশটিতে জারি করা হয়েছে চারদিনের কার্ফিউ।
পশ্চিম আফ্রিকার দেশটিতে আগামি ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২১ সেপ্টেমর পর্যন্ত চারদিনের কার্ফিউ নির্ধারিত করা হয়েছে। একে লকডাউনও বলা হচ্ছে। এ সময়ের মধ্যে দেশটি থেকে বের হওয়ার বা দেশটিতে প্রবেশ করার কোন সুযোগ থাকবে না।
সে কার্যরত চিকিৎসকদের পরামর্শে এ উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। ঐ সময়ের মধ্যে চিকিৎসকেরা আক্রান্ত ও অনাক্রান্তদের পৃথক করবেন, যেন ছোঁয়াচে রোগটি আরও ছড়িয়ে পড়তে না পারে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যেতে পারে, সাম্প্রতিক মাসগুলোয় সিয়েরা লিওন, লাইবেরিয়া, গিনি ও নাইজেরিয়ায় এ রোগের প্রকোপে ২১০০ মানুষ মারা গেছে। মার্চে সিয়েরা লিওনে এর প্রকোপ বাড়ার পর, কর্তব্যরত অন্তত ২০ জন চিকিৎসক মারা গেছেন।
সপ্তাহকাল পূর্বে এবোলার প্রতিষেধক রেসাস বানরের ওপর প্রয়োগ করে শতভাগ আরোগ্যের রেকর্ড নথিভুক্ত হয়। কিন্তু ঔষধটি সাধারণের নাগালে পৌঁছুনো সম্ভব হচ্ছে না। এ সংক্রান্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ঘোষণাটিতে হতাশ হয়েছেন আক্রান্ত দেশগুলোর মানুষেরা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আশ্বাস অনুযায়ী চলতি বছরের নভেম্বরে এ রোগের প্রতিষেধক জনগণের কাছে পৌঁছে দেয়া সম্ভব হবে। সাধারণ হতাশ হলেও, তাদের নিরাপত্তার কারণে এ প্রতিষেধককে আরও নিরাপদ করে তুলতে সময়ের প্রয়োজন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য সংস্থার কর্তৃপক্ষ।