ঢাকাবুধবার , ৭ জানুয়ারি ২০১৫
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও অন্যান্য
  5. খেলাধুলা
  6. গল্প ও কবিতা
  7. জাতীয়
  8. তথ্যপ্রযুক্তি
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম ও জীবন
  11. প্রবাস
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ প্রতিবেদন
  15. মুক্তমত
আজকের সর্বশেষ সবখবর

যে সাত কারণে জুবির পতন

দৈনিক পাঞ্জেরী
জানুয়ারি ৭, ২০১৫ ৯:৫৭ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

bercelonaস্পোর্টস ডেস্ক : ন্যু ক্যাম্পে কালবৈশাখী ঝড় বইছে। লা লিগায় রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে একটি হার মহাবিপর্যয় ডেকে এনেছে বার্সেলোনায়। কাতালন দলটির স্পোর্টিং ডিরেক্টরের পদ থেকে বহিস্কৃত হয়েছেন আন্দোনি জুবিজারেতা। ক্রীড়া পরিচালকের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন কার্লোস পুয়োলও। এদিকে লিওনেল মেসির সঙ্গে নাকি দূরত্ব বেড়েই চলেছে বার্সার স্প্যানিশ ম্যানেজার লুইস এনরিকের।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে ফিসফাস রিয়াল সোসিয়েদাদ ম্যাচের পর এনরিকের সঙ্গে নাকি বচসায় জড়িয়েছিলেন এমএলটেন। একই দিনে বার্সার অনুশীলনেও অনুপস্থিত থাকেন মেসি।  শুধু তাই নয়, টুইটারে ওই দিন থেকেই চেলসিকে অনুসরন করা শুরু করেছেন আন্তোলোনা রোকুজ্জো-মেসি দম্পতি। যা টানা চারবারের ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলারের দলবদলের গুঞ্জনকে আরো উসকে দিয়েছে।
কিন্তু ঠিক কী কারণে বার্সার স্পোর্টিং ডিরেক্টর আন্তোনি জুবিজারেতাকে বহিস্কৃতি হতে হলো? স্প্যানিশ ক্রীড়া দৈনিক ‘মার্কা’ তার সাতটি কারণ তুলে ধরেছেন। অর্থাৎ যে সাত কারণে বার্সেলোনার ড্রেসিংরূমের সুখ নষ্ট হচ্ছে।  বাংলামেইল২৪ডটকমের পাঠকদের জন্য আমরা তা তুলে ধরছি-
১. সেন্টার-ব্যাক সমস্যা: অভিজ্ঞ সেনানী কার্লোস পুয়োলের প্রস্থানের পর থেকেই ডিফেন্স সমস্যায় ভুগছে বার্সেলোনা। কিন্তু দীর্ঘ এই সময়ে মানসস্মত কোনো ডিফেন্ডার কিনতে পারেননি স্পেনের দৈত্য ক্লাবটি। হ্যাঁ, ভ্যালেন্সিয়া থেকে জেরেমি ম্যাথুউ এবং আর্সেনাল থেকে থমাস ভারমালিনকে উড়িয়ে এনেছে জুবি। কিন্তু বার্সার মতো বড় ক্লাবের সঙ্গে এখনো মানিয়ে নিতে পারেনি ওই জোড়। উপরন্তু ভারমালিন তো এখনো মাঠেই নামতে পারেনি ইনজুরির জন্য। জেরার্ড পিকেও নিজের সেরা ফর্মে নেই।
২. থিয়াগো ও ফেব্রেগাসকে বিকিয়ে দেয়া: জাভি হার্নান্দেজের বিদায় এখন সময় ব্যাপার মাত্র। কারণ দেখতে দেখতে বয়সটা বেড়ে গেছে স্পেন ইন্টারন্যাশনালের। এই অবস্থায় ‘দ্য ব্রেইন’ এর শূন্যস্থান পূরণ করতে পারতেন থিয়াগো আলকান্ত্রা কিংবা সেস ফেব্রেগাসের মতো লা মাসিয়া গ্রাজুয়েটরা। যারা বার্সার দর্শন শিখেই ফুটবলে হাতেখড়ি নিয়েছিলেন। কিন্তু সেই তাদের বিকিয়ে দেন জুবিজারেতা। যারা বায়ার্ন মিউনিখ ও চেলসির মতো ক্লাবে গিয়ে ঠিকই নিজেদের মেলে ধরেছে। অন্যদিকে এই সময়ে ইভান রাকিটিচকে কিনেছে নু ক্যাম্পের অধিবাসীরা। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তাকে বসিয়ে রাখছেন এনরিকে।
৩. ভিক্টর ভালদেসের বিদায়: বার্সেলোনার প্রভাবশালী খেলোয়াড় ছিলেন ভিক্টর ভালদেস। ড্রেসিং রুমের নেতা ছিলেন তিনি। অথচ তার সঙ্গেই চুক্তি নবায়ন করতে পারেনি কাতালনিয়ার জায়ান্টরা।
৪. নেইমারগেট: ব্রাজিলের সান্তোস থেকে নেইমারকে উড়িয়ে আনার জন্য যে দুনীর্তির আশ্রয় নিয়েছিলেন জুবিজারেতা তা দলের পরিচালনা পর্ষদ ভালোভাবে নেয়নি। কেননা এটা ক্লাবের ইমেজে আঘাত হেনেছে।
৫. ট্রান্সফার নিষেধাজ্ঞা: বার্সেলোনার দলবদল নিয়ে অনেক জলঘোলা হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দলকে রক্ষা করতে পারেননি বার্সা ফুটবল ডিরেক্টর। দলবদলে দুই বছর লিওনেল মেসির ক্লাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখে সুইজারল্যান্ডের ক্রীড়া আদালত। এটা জুবিজারেতাকে ব্যাকফুটে করে দেয়।
৬. লা মাসিয়ার খেলোয়াড়দের অবমূল্যায়ন: এক সময় বার্সেলোনার সেরা একাদশ সাজানো হতো ১১ জন লা মাসিয়া গ্রাজুয়েট নিয়ে অর্থাৎ, নিজের হোমগ্রোন খেলোয়াড়দের নিয়েই দল সাজাতে পারত বার্সা। কিন্তু জুবিজারেতার আগমনের পর এই দৃশ্যপট বদলে যায়। বোজান কিরকিক, মার্ক মুনিয়েসা, থিয়াগো আলকান্ত্রা, আইজ্যাক কুয়েঙ্কা, ক্রিশ্চিয়ান তেল্লোদের বিকিয়ে দেয়া হয় ন্যু ক্যাম্প থেকে।
৭. নির্দিষ্ট পরিকল্পনার অভাব: পেপ গার্দিওলা বার্সেলোনা ছাড়লে কোচিং নিয়ে নির্দিষ্ট কোনো পরিকল্পনা দেখাতে পারেননি আন্দোনি জুবিজারেতা। টিটো ভিলানোভা শারীরিক অসুস্থতায় ব্যাটন নিয়ে দৌঁড়াতে পারেননি। এরপর টাটা মার্টিনো কখনোই পায়ের নিচে জমিন খুঁজে পাননি। আর লুইস এনরিকে ছয় মাস পার না করতেই নানা সমালোচনার মুখে পড়ছেন। তাছাড়া মেসির অসুখী হয়ে পড়ার বিষয়টা তো আছেই।