নিজস্ব প্রতিবেদক : সস্ত্রীক পুলিশ কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান হত্যা মামলায় সাক্ষী দিতে ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে কেউ আসেনি।
বুধবার কোনো সাক্ষী না আসায় ওই ট্রাইব্যুনালের বিচারক এবিএম সাজেদুর রহমান সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১২ জানুয়ারি পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন।
ঐশীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাহবুবু হাসান রানা সাক্ষী না আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ৬ মে মহানগর দায়রা জজ আদালত ঐশী ও তার তিন বন্ধুর বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন। এরপর ওই আদালতই চার্জশিটভুক্ত ৫৭ জন সাক্ষীর মধ্যে বাদী ঐশীর চাচা মশিহুর রহমান রুবেলসহ ১৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।
গত ৯ মার্চ ডিবির ইন্সপেক্টর মো. আবুয়াল খায়ের আদালতে ওই চার্জশিট দাখিল করেন।
গত ২১ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে নেয়ার প্রজ্ঞাপন জারি করে। এরপর ঢাকা মহানগর দায়রা আদালত মামলাটির নথি ট্রাইব্যুনালে পাঠান।
এ মামলায় অপর তিন আসামি হচ্ছেন ঐশীর দুই বন্ধু আসাদুজ্জামান জনি, মিজানুর রহমান রনি ও গৃহকর্মী খাদিজা আক্তার সুমি।
ঐশীসহ তার দুই বন্ধুর বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে হলেও গৃহকর্মী খাদিজা আক্তার সুমির বিচার ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজের কিশোর আদালতে (জুভেনাইল) চলছে।
২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট রাজধানীর মালিবাগের চামেলীবাগে নিজেদের বাসা থেকে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (পলিটিক্যাল শাখা) ইন্সপেক্টর মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানের ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এরপর দিন তাদের মেয়ে ঐশী রহমান রমনা থানায় আত্মসমর্পণ করেন।