যশোর প্রতিনিধি : বাসে আগুন দেয়ার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ছাত্রশিবিরের যশোর জেলা শাখা সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ বিএনপি- জামায়াতের ৮ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার ভোরে উপশহর বিআরটিসি কাউন্টার এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে শিবিরকর্মী এবং বিভিন্নস্থান থেকে বিএনপির কর্মীদের আটাক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আটক নেতাকর্মীরা হলেন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের জেলা পূর্ব শাখার সভাপতি তাওহিদুল ইসলাম মুকুল, জেলা পশ্চিম শাখার সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন, শহর শাখার প্রকাশনা সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, জামায়াতকর্মী ও এতিমখানার শিক্ষক শাহাব উদ্দীন। অপর চারজনের নাম জানা যায়নি।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইনামুল হক বাংলামেইল জানান, মোট ৮জনকে আটক করা হয়েছে। এরমধ্যে শিবিরের ৩ জন, জামায়াতের একজন এবং বিএনপির ৪ কর্মী রয়েছে।
আটক নেতাকর্মীরা বাসে আগুন এবং বাসের হেলপারকে দগ্ধ করার সঙ্গে জড়িত। তাদের কাছ থেকে মোটরসাইকেল, ল্যাপটপ, ক্যামেরা ও কালো পতাকা উদ্ধার করা হয়।
তবে জেলা জামায়াতের পক্ষ থেকে ভিন্ন বক্তব্য পাওয়া গেছে। সংগঠনের জেলা প্রচার সম্পাদক শাহাবুদ্দিন বাংলামেইলকে জানান, রাত দেড়টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত পুলিশ শহরের বারান্দীপাড়া এলাকায় অবস্থিত জেলা জামায়াতে ইসলামীর অফিস ও সংলগ্ন এতিমখানায় অভিযান চালায়। এসময় ইসলামী ছাত্রশিবিরের জেলা পূর্ব শাখার সভাপতি তাওহিদুল ইসলাম মুকুল, জেলা পশ্চিম শাখার সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন ও শহর শাখার প্রকাশনা সম্পাদক সাইফুল ইসলামকে আটক করে পুলিশ। একই সময় জামায়াত অফিস সংলগ্ন আল হেলাল এতিমখানা থেকে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক শিহাবউদ্দিনকেও আটক করা হয়।
পুলিশের দাবি,তাদের উপশহর বিআরটিসি কাউন্টার এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে।
তাদের নামে কোনো মামলা না থাকলেও পুলিশ হয়রানি করতেই তাদের আটক করেছে বলে দাবি করছে জামায়াত।