নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশে বিশ্বমানের ওষুধ উৎপাদনে সব ধরনের সহযোগিতা সরকারের পক্ষ থেকে করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
বৃস্পতিবার দুপুরে শেরেবাংলা নগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তিন দিনব্যাপী সপ্তম ‘এশিয়া ফার্মা এক্সপো-২০১৫’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান। বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতি ও জিপিই প্রাইভেট লিমিটেডের সহযোগিতায় এ মেলার আয়োজন করা হয়।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশে বিশ্বমানের ওষুধ উৎপাদিত হচ্ছে। যা দেশের মোট অভ্যন্তরীণ চাহিদার ৯৮ শতাংশ পূরণ করে বিশ্বের ৯০টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে। এ সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে বর্তমান সরকার সব ধরনের সহায়তা দেবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এখন শুধু পোশাক শিল্পের উপর নির্ভরশীল নই। পোশাক শিল্প ছাড়াও বর্তমান সরকার দেশের চারটি খাতকে সবচাইতে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। যার মধ্যে রয়েছে ওষুধ, শিপ বিল্ডিং, লেদার গুডস এবং আইটি। এর মধ্যে ওষুধ ছাড়া সবগুলো সেক্টরেই নগদ অর্থ সহায়তা দেয়া হয়। তাই ওষুধ শিল্পেও নগদ অর্থ সহায়তা প্রদানের উদ্যোগ নেয়া হবে।’
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ডব্লিউটিও’র ট্রিপস (ট্রেড রিলেটেড আসপেক্টস অব ইনটেলেকচ্যুয়াল প্রপার্টি রাইটস) চুক্তির আওতায় ওষুধের ক্ষেত্রে পেটেন্ট আইন বাস্তবায়ন সংক্রান্ত অব্যাহতির মেয়াদ আগামী ৩১ ডিসেম্বর শেষ হবে। ইতিমধ্যে এই মেয়াদ বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছি। স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে আমাদের অবস্থানপত্র জেনেভায় বাংলাদেশ মিশনে পাঠিয়েছি। যাতে এই অবস্থানপত্রের উপর ভিত্তি করে অব্যাহতির মেয়াদ বৃদ্ধির ব্যাপারে আলোচনা শুরু করা যায়।’
তিন দিনব্যাপী এই এক্সপোতে ভারত, চীন, কোরিয়া, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, তাইওয়ানসহ বিশ্বের ৩০টি দেশের ৪৫০টি ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জামাদি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। মেলায় প্রদর্শিত হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তির অস্ত্রোপচার, রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা যন্ত্রপাতি এবং বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় উৎপাদিত ওষুধ। প্রদর্শনী চলবে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এই এক্সপো সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির সভাপতি সালমান এফ রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ওষুধ প্রশাসনের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল জাহাঙ্গির হোসেন মল্লিক ও বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির মহাসচিব আবদুল মুক্তাদির।