নিজস্ব প্রতিবেদক
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি আইন করে বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে ব্লগাররা। শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনলাইন অ্যাকটিভিস্টদের আহ্বানে ‘আইন করে ইতিহাস বিকৃতি বন্ধ কর’ শীর্ষক নাগরিক সভায় এ দাবি জানানো হয়।
ব্লগার অমি রহমান পিয়ালের পরিচালনায় নাগরিক সভায় বক্তব্য দেন- বিশিষ্ট সাংবাদিক আবেদ খান, ব্লগার সাগর লোহানী, শামস রশিদ জয়, মহামান্য কহেন এবং ডা. সুমন প্রমুখ।
১৯৭১: ভেতরে বাইরে বইয়ে বিতর্কিত তথ্য দেয়ায় মুক্তিযুদ্ধের সহ-অধিনায়ক সেক্টর কমান্ডার একে খন্দকারকে উদ্দেশ করে আবেদ খান বলেন, ‘আপনার লেখা বই প্রত্যাহার করে জাতির কাছে ক্ষমা চান, বয়স বিবেচনায় জনগণ আপনাকে ক্ষমা করে দিবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘একে খন্দকারকে আমরা প্রতিপক্ষের মধ্যে ফেলতে চাই না। আমরা তাকে প্রতিপক্ষ মনে করি না। কিন্তু তিনি যদি পরিষ্কার বক্তব্য দিয়ে আমাদের প্রতিপক্ষ হয়ে যান তাহলে আমরা প্রতিপক্ষ হিসেবেই বিবেচনা করবো।’
আবেদ খান বলেন, ‘গতমাস পর্যন্ত জানতাম সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের নেতা হিসেবে একে খন্দকার দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু আকস্মিকভাবে ঘটনাচিত্র উল্টো দেখি। আমি মনে করি এই বয়োবৃদ্ধ সেক্টর কমান্ডার কোনোভাবে বিভ্রান্ত হয়েছেন, কোনোভাবে প্রতারিত হয়েছেন, কোনোভাবে প্ররোচিত হয়েছেন।’
বইটির প্রকাশক প্রথমা প্রকাশনীর প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘যে প্রকাশনা সংস্থাটি এই বই প্রকাশ করেছে সে ব্যাপারটি বিবেচনা করার দরকার আছে। আমি মনে করি, আমাদের যথেষ্ট সতর্ক থাকতে হবে এই প্রকাশনা সংস্থা থেকে। বাংলাদেশের মানুষের ভেতরে, তরুণ প্রজন্মের ভেতরে তারা বিভ্রান্তির সৃষ্টির চেষ্টা করে যাচ্ছে।’
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার যতক্ষণ শেষ করা সম্ভব না হবে ফাঁসি রায় কার্যকর না হবে, ততক্ষণ এই পর্যন্ত এই ষড়যন্ত্র চলতেই থাকবে বলে মনে করেন তিনি। এ জন্যে দ্রুত যুদ্ধাপরাধীদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার দাবি জানান।
ইতিহাস বিকৃতির সঙ্গে জড়িতদের বিচারের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি সরকারের প্রশাসনের ভেতরে যে অংশগুলো প্রতিমুহূর্তে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত সরকারের বিরুদ্ধে এবং মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে লিপ্ত, তাদের সঙ্গে মার্কিনি সংশ্লিষ্ট পত্রিকার মাধ্যমে আমরা লক্ষ্য করি। কাজেই আমাদেরকে এই মুহূর্ত সরকারকে সতর্ক হতে হবে, সুস্পষ্ট সিদ্ধান্তে আসতে হবে। আইন করে ইতিহাস বিকৃতি বন্ধের করতে হবে।’