ইবি (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি : দীর্ঘ ৩৭ দিন বন্ধ থাকার পর একদিন ক্লাস শুরু হয়ে আবারো বন্ধ হয়ে গেল কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি)।
শুক্রবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় সকল ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করে শনিবার সকালের মধ্যে শিক্ষার্থীদের হলত্যাগের নির্দেশ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
শনিবার সকাল থেকেই শিক্ষার্থীরা হল ছাড়তে শুরু করে। তবে অবরোধ চলার কারণে প্রয়োজনীয় যানবাহন না পেয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়ে শিক্ষার্থীরা।
আব্দুল্লাহ আল বায়েজিদ নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘নাটোরের রাণীনগর উপজেলায় আমার বাড়ি। আমি কিভাবে বাড়ি যাবো। তাই অনিশ্চিয়তার মধ্যে রয়েছি। আমি সিএনজিতে করে কুষ্টিয়ায় যাবো তারপর দেখি কিভাবে যাওয়া যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘বৃহস্পতিবার আমি হলে এসেছি। কিন্তু আবার একদিনপরেই বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হলো। এভাবে ক্লাস ও পরীক্ষা সময়মতো না হওয়ায় আমাদের পড়াশোনায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য, প্রকাশনা ও জনসংযোগ অফিসের শাখা কর্মকর্তা রাশেদুজ্জামান খান টুটুল বলেন, ‘বুধ ও বৃহস্পতিবার অবরোধের সর্মথনে বিশ্ববিদ্যালয় গেটে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা মিছিল করে। এসময় তারা মহাসড়ক অবরোধের চেষ্টা করলে পুলিশ টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।
শুক্রবার বন্ধের দিন বিকেলে ছাত্রশিবিরের বিপুল পরিমাণ শিক্ষার্থী হলে প্রবেশ করেছে- এমন খবরে ইবি প্রশাসন বৈঠকে বসে।
বৈঠকে ইবি উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল হাকিম সরকারের সভাপতিত্বে শুক্রবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২৭তম সিন্ডকেটের জরুরি সভা বসে।হল ত্যাগ
সভায় অবরোধের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে অনিবার্যকারণবশত অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস খোলা থাকবে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গেল বছরের ৩০ নভেম্বর ক্যাম্পাসে বাসচাপায় এক শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় ওই দিন বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়। চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর মাত্র এক দিন পর আবারও ক্যাম্পাস বন্ধ করা হল।