স্পোর্টস ডেস্ক : শনিবার সিডনি টেস্টের শেষ দিন শেষ বিকেলে জয়ের জন্য মাত্র তিনটি উইকেট দরকার ছিল অস্ট্রেলিয়ার। কিন্তু জোস হ্যাজলউড-মিশেল স্টার্করা ভারতের লেজে মরণ কাঁমড় বসাতে পারেননি। ফলে সফরকারী টিম ইন্ডিয়ার জন্য ২০০৮ সালের ট্রাজেডি ফিরে আসেনি আবার। আজিঙ্কা রাহানে-ভুবনেশ্বর কুমারের দৃঢ়তায় নাটকীয় এক ড্র অর্জন করেছে ভারত। তবে মেলবোর্নে তৃতীয় টেস্ট ড্র হওয়ার পরই অস্ট্রেলিয়ার ২-০ ব্যবধানের সিরিজ জয় নিশ্চিত হয়েছিল। শনিবার সিডনি টেস্ট অমিমাংসিত ভাবে শেষ হলে স্কোরলাইনে আর কোনো পরিবর্তন আসেনি।
টেস্টের পঞ্চম দিন চা বিরতিতে জয়ের জন্য ভারতের দরকার ছিল ১৮৯ রান। হাতে উইকেট ছিল আটটি। তখন ক্রিজে ছিলেন বিরাট কোহলি ও মুরালি বিজয়। কিন্তু বিরতি থেকে ফিরেই দ্রুত প্যাভিলিয়নের পথে হাঁটা দেন এই দুজন। ফাটা উইকেটের সুবিধা নিয়ে অতিরিক্ত বাউন্স আদায় করে নিচ্ছিলেন নাথান লিওন। পেসাররা পাচ্ছিলেন রিভার্স সুইং। ফলে উইকেটে থিতু হওয়া হয়নি সুরেশ রায়না, ঋদ্ধিমান সাহা ও রবিচন্দন অশ্বিনের। তবে অস্টম উইকেটে গিয়ে ‘সুপার গ্লু’ মতো কার্যকরী একটি পার্টনারশিপ গড়েন ভুবি-রাহানে। তাতেই রক্ষা পায় ভারত। দিনশেষে সাত উইকেটে ২৫২ রান সংগ্রহ করে সফরকারীরা। ড্র হয় টেস্ট।
ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসে দলটির ওপেনার মুরালি বিজয় সর্বোচ্চ ৮০ রান করেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেছেন বিরাট কোহলি। ৮৮ বলে ৩৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন আজিঙ্কা রাহানে। ভুবনেশ্বর কুমারের ব্যাট থেকে এসেছে অপরাজিত ২০ রান। ৩৯ রান করেছেন রোহিত শর্মা। অস্ট্রেলিয়ার মিশেল স্টার্ক, জোস হ্যাজলউড ও নাথান লায়ন প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট পেয়েছে। প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ ও প্লেয়ার অব দ্য সিরিজ নির্বাচত হন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ। এই সিরিজে সর্বোচ্চ ৭৬৯ রান করেন নিউ সাউথ ওয়েলশের ব্যাটসম্যান। চার ম্যাচের সিরিজ বিবেচনায় যা একটি বিশ্বরেকর্ড। প্রসঙ্গত, সিডনি টেস্টের প্রথম ইনিংসে সাত উইকেটে ৫৭২ রান করে ইনিংস ঘোষণা করেছিল অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় ইনিংসে তাদের সংগ্রহ ২৫১। ভারত প্রথম ইনিংসে করে ৪৭৫ রান।