নিজস্ব প্রতিবেদক : বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাত শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আশপাশ থেকে মোনাজাতে অংশ নেয়া ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা টঙ্গীর তুরাগ তীর ছাড়তে শুরু করেছেন। এতে টঙ্গীর আশপাশের রাস্তাগুলোতে মুসল্লিদের ভীড়ে জটলার সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তায় তিল ধারণের ঠাঁই নেই। আর এ কারণে গন্তব্যে পৌঁছতে মুসল্লিদের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। তারপরও ধর্মপ্রাণ এতো মুসল্লির সঙ্গে মোনাজাতে অংশ নিতে পারায় তারা খুশি।
রোববার বেলা সোয়া ১১টায় শুরু হওয়া আখেরি মোনাজাত পৌনে ১২টায় শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মুসল্লিরা নিজ গন্তব্যে রওনা হতে শুরু করেন। তবে ইজতেমা ময়দানে গত তিনদিন ধরে যারা অবস্থান করছেন এমন মুসল্লি ধীরসুস্থে বাড়ি ফিরবেন বলে জানা গেছে। তাই তাদের অনেকে এই মুহূর্তেই তুরাগ তীর ছাড়ছেন না। বিশেষ করে প্রবীণ মুসল্লিরা।
কয়েকজন মুসল্লি বলেন, তারা আরো কয়েক দিন অবস্থানও করবেন। আগামী ১৬ জানুয়ারি বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় আসরেও তারা থাকবেন বলে মনস্থির করেছেন।
এদিকে আধঘণ্টাব্যাপী চলা আখেরি মোনাজাতে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়। এ সময় লাখো মুসল্লি দু’হাত তুলে পাপ মোচনের জন্য মহান আল্লাহ তালার কাছে ফরিয়াদ জানান। অনেকে নিজ, পরিবার পরিজনের জন্যও দোয়া প্রার্থনা করেন।
মিরপুর থেকে আখেরি মোনাজাতে অংশ নেয়া মিরাজ বলেন, ‘আখেরি মোনাজাতে অংশ নেয়ার মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করেছি। একই সঙ্গে অসুস্থ বাবা-মা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জন্য দোয়া কামনা করেছি।’
মিরাজের ঠিক পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন মো. জালাল। তিনি বলেন, ‘পরিবারের জন্য দোয়া চাওয়ার পাশাপাশি দেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা নিরসনের জন্যও দোয়া প্রাথর্না করেছি।’
এদিকে ময়মনসিংহ থেকে আসা মুন্সি আজিজ উদ্দিনের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘ইজতেমা শুরুর দু’দিন আগে এখানে এসেছি। সকলের দোয়ায় ইজতেমার প্রথম দফায় অংশ নিলাম, আল্লাহ তৌফিক দান করলে ইজতেমার দ্বিতীয় দফাতেও অংশ নেবো।’
ভোগান্তির শিকার হওয়া কয়েক জন মুসল্লির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রাস্তার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার অভাবে বাড়ি ফিরতে মুলল্লিদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে টঙ্গীর আশপাশের এলাকা থেকে আখেরি মোনাজাতে অংশ নেয়া মুসল্লিরা বাড়ি ফিরতে হিমশিম খাচ্ছেন। যানবাহন চলাচল না করায় মুসল্লিরা পায়ে হেঁটেই গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন।
এর আগে মোনাজাতে অংশ নিতে আসার সময়ও মুসল্লিদের একইভাবে ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে। দূর-দূরান্ত থেকে মুসল্লিরা পায়ে হেঁটে ইজতেমা ময়দানে এসেছেন। তবে দুএকটি রিকশা ভ্যান চললেও ভাড়া দিগুণেরও বেশি নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ মুসল্লিদের।