ঢাকাবৃহস্পতিবার , ১৫ জানুয়ারি ২০১৫
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও অন্যান্য
  5. খেলাধুলা
  6. গল্প ও কবিতা
  7. জাতীয়
  8. তথ্যপ্রযুক্তি
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম ও জীবন
  11. প্রবাস
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ প্রতিবেদন
  15. মুক্তমত
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ট্রাফিক সিগন্যাল তাহলে উঠে যাবে!

দৈনিক পাঞ্জেরী
জানুয়ারি ১৫, ২০১৫ ১২:৪৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

trafficতথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক : অফিস থেকে বের হওয়ার পর দেখলেন নগরীর কোন রাস্তাতেই ট্রাফিক সিগন্যাল বাতি নেই। গাড়িগুলো সাই সাই করে ছুটে চলছে। যানজট পেরিয়ে আগে যে রাস্তা পাড়ি দিতে সময় লাগতো এক ঘণ্টা সেখানে মাত্র আধা ঘণ্টায় বাড়িতে হাজির। আপনার কাছে এটা হয়তো কোনো সায়েন্স ফিকশন সিনেমার দৃশ্য মনে হবে। কিন্তু না, সত্যি হতে চলেছে এই কাল্পনিক প্রযুক্তি। ভবিষ্যতে নগর-মহানগর থেকে উঠে যাবে প্রচলিত সিগন্যাল বাতি। প্রযুক্তির কল্যাণে সেই সিগন্যাল বাতিই থাকবে আপনার গাড়ির ভেতরে, ভিন্নরূপে। আর এর ফলে ৬০ শতাংশ সময় বাঁচবে সড়কে যাতায়াতকারীদের।
প্রচলিত ট্রাফিক বাতির পরিবর্তে ভার্চুয়াল ট্রাফিক বাতি উদ্ভাবনে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্রের কার্নেগি মেলন ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার বিজ্ঞানীরা।ভার্চুয়াল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা অনুযায়ী , রাস্তায় কোথাও ট্রাফিক বাতি থাকবে না, বরং এটি থাকবে গাড়ির উইন্ডশিল্ডে অথবা ড্যাশবোর্ডে।
traffic-02প্রচলিত পদ্ধতিতে, রাস্তার মোড়গুলোতে নির্দিষ্ট সময় পরপর ট্রাফিক বাতি জ্বলে ওঠে। সড়ক দিয়ে গাড়ি যাক বা না যাক বিপরীত প্রান্তের চালককে গাড়ি থামাতেই হবে। কিন্তু ভার্চুয়াল ট্রাফিক ব্যবস্থায় প্রত্যেকটি গাড়িতে একটি সেনসর থাকবে, যা গাড়িগুলোকে একটির সঙ্গে আরেকটি যুক্ত করবে। এছাড়া এ সেনসরের মাধ্যমে গাড়িগুলোর অবস্থানও জানতে পারবে কন্ট্রোলরুম। এর মাধ্যমে দুটি গাড়ি দুই প্রান্ত দিয়ে অতিক্রমের সময় যখন প্রয়োজন পড়বে তখন স্বয়ংক্রিয়ভাবে উইন্ডশিল্ডে রাখা ছোট্ট মডিউলটিতে ট্রাফিক বাতি জ্বলে উঠবে। আর প্রয়োজন ফুরানোর সঙ্গে সঙ্গে সেই বাতি নিভে যাবে। পর্তুগালের পোয়ের্তো শহরে ৪৫০টি ট্যাক্সিক্যাবের মাধ্যমে এ প্রকল্পের পরীক্ষামূলক ব্যবহার শুরু হয়েছে।
কার্নেগি মেলন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ওজান টঙ্গুজ বলেন, যখন গাড়িগুলো অন্য গাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবে, তখন আমরা কাঠামোগত ট্রাফিক সিগন্যাল বাতি ছাড়াই ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো।
গবেষকদের হিসেবে এটি চালু হলে নগরবাসীর কমপক্ষে ৬০ শতাংশ সময় বাঁচবে। এছাড়া পথে যানজট না থাকায় অতিরিক্ত কার্বন নিঃসরণও কমবে প্রায় ৪০ শতাংশ।
এ ব্যাপারে টঙ্গুজ বলেন, এটা লোকজনকে প্রায় অতিরিক্ত জীবন দেয়ার মতো।