আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভির মুখোমুখি হয়েছিলেন। আগামী প্রাদেশিক নির্বাচনকে সামনে রেখে তার বিশ্লেষণ, সিদ্ধান্ত ও মন্তব্য প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি মনে করেন-
দিল্লীর জনগণ এবারও আম আদমি পার্টিকে মনোনীত করবে। এবার তার দল ৪০-৫০টি আসন লাভ করবে। শেষবার, নতুন দল হওয়ায় তাদের নীতিনির্ধারণী কিছু ভুলভ্রান্তি হয়েছিল। এবার তা উৎরে যাবে তার দল। দিল্লীর মানুষ এবার জানবে, দিল্লীর আসনপ্রার্থী শুধু দুটো দলই আছে, বিজেপি আর এএপি। গেলোবার কংগ্রেসের প্রতি মানুষের অনাস্থা দেখা গেছে। এবার তার ঠিক বিপরীত আস্থা দেখা যাবে এএপির ওপর। শাসনভার পাওয়ার সাত মাসে বিজেপি যা করেছে, তা এএপির ৪৯ দিনে কৃত কাজের তুলনায় কিছুই নয়।
তিনি আরও মনে করেন-
হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্রের সঙ্গে দিল্লীর তুলনা করা আপেল আর কমলায় তুলনা করার মতো ব্যাপার। ঐ দুই প্রদেশে কংগ্রেস আর বিজেপি ছাড়া আর কোন উপায় ছিল না মানুষের, টিক দেয়ার ব্যাপারে। কিন্তু এখানে এএপি রয়েছে। দিল্লীর মানুষ আমাদের সমস্যাগুলো বুঝতে পেরেছে এবং ক্ষমা করেছে। এএপি মাঠ ছেড়ে পালিয়েছে- এমন ধারণার উচিৎ জবাব এএপি দিয়েছে। মানুষ এখন জানে, নরেন্দ্র মোদির প্রধানমন্ত্রীত্ব পাওয়ার কথা ছিল না। মানুষ শক্তিশালী একজন প্রধানমন্ত্রী চায়। দিল্লীতে এএপির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী জগদীশ মুখি। এখনও পর্যন্ত চারজন বিজেপি নেতা এএপির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হওয়ার জন্যে এএপির কাছে আবেদন জানিয়েছে।
তিনি প্রশ্ন করেন, আমাকে কি নকশালদের মতো দেখায়? এ ধরনের মন্তব্য করা একদম উচিৎ নয়। যারা এমন বলে তাদের বলছি, মূল বিষয় নিয়ে কথা বলুন।
কেজরিওয়াল স্বীকার করেন, সাজিয়া ইলমিই একমাত্র কেন্দ্রীয় নেতা যিনি এএপি ছেড়ে গেছেন। কেন গেছেন, সে ব্যাপারে কেজরিওয়াল কিছু বলতে চান না, তবে জানান, সাজিয়া ইলমিকে শ্রদ্ধা করেন তিনি এবং তার শুভটুকুই কামনা করেন। তিনি মনে করেন, আরও অনেক ছোট খাটো নেতা কোন পদ বা আসন পায়নি বলে এএপি ছেড়ে গেছে। এ ধরনের লোকদের এএপিতে আসাই উচিৎ নয়। কংগ্রেস পদপ্রার্থী শিলা দীক্ষিতও জানেন কংগ্রেস পরাজিত হতে যাচ্ছে।
কেজরিওয়াল কংগ্রেসকে ভোট দিয়ে ভোট নষ্ট না করার আহ্বান জানান দিল্লীর গণমানুষের কাছে। তিনি মনে করিয়ে দেন, দিল্লীতে প্রতিদ্বন্দ্বীতা হবে শুধু দুই দলের, বিজেপি আর এএপি।
এর আগে অরবিন্দ কেজরিওয়াল বিজেপি নেতা দিল্লীর বিজেপি প্রার্থী সতীশ উপাধ্যায় সম্পর্কে অভিযোগ করেন, সতীশ অবৈধ উপায়ে এক কিছু প্রতিষ্ঠানের মালিক হয়েছেন যে প্রতিষ্ঠানগুলো অবৈধভাবে প্রভাব খাটিয়ে দিল্লীর বিদ্যুৎ মিটার স্থাপন ও প্রতিস্থাপন করিয়ে ব্যাপক অর্থ আত্মসাৎ করেছে। সতীশ উপাধ্যায় বলেছেন, এ তথ্য কেজরিওয়াল প্রমাণ করতে পারলে তিনি রাজনীতি ছেড়ে দেবেন। আর প্রমাণে ব্যর্থ হলে কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে তিনি আইনী লড়াইয়ে নামবেন। কেজরিওয়াল বলেছেন, প্রমাণ তার হাতেই আছে। অচিরেই তিনি তা উপস্থাপন করবেন।