ঢাকারবিবার , ১৮ জানুয়ারি ২০১৫
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও অন্যান্য
  5. খেলাধুলা
  6. গল্প ও কবিতা
  7. জাতীয়
  8. তথ্যপ্রযুক্তি
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম ও জীবন
  11. প্রবাস
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ প্রতিবেদন
  15. মুক্তমত
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কূটনৈতিক জোনে গণপরিবহন প্রবেশ বন্ধ

দৈনিক পাঞ্জেরী
জানুয়ারি ১৮, ২০১৫ ৯:৪০ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর কূটনৈতিক জোন গুলশান বনানী ও বারিধারায় গণপরিবহন প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। তবে গুলশান থেকে বের হতে পারছে গণপরিবহন। মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকার চলাচল করতে পারলেও ব্যাপক তল্লাশির মুখে পড়তে হচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, পুলিশ অনেকটা ‘রণসাজে’ অবস্থান করছে।
কিছু তথ্য পেয়ে নিরাপত্তার স্বার্থে সাময়িক সময়ের জন্য এটা করা হয়েছে বলে দাবি করছে পুলিশ।
রোববার সকাল থেকে ওইসব এলাকায় সকল ধরনের গণপরিবহন প্রবেশ বন্ধ রাখা হয়েছে।
গুলশান থানার ওসি রফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে কিছু তথ্য রয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে সাময়িক সময়ের জন্য এটা করা হয়েছে।’ গুলশান বনানী ও বারিধারায় এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
তবে এ ব্যবস্থা কতদিন বা কতক্ষণ বলবৎ থাকবে তা জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন ওসি।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, গুলশান-২ নম্বরের সকল প্রবেশমুখে ব্যারিকেড দিয়ে রাখা হয়েছে। বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। কোনো ধরনের গণপরিবহনকেই ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না।
গুলশান-২ এ যাতায়াতের জন্য উল্লেখযোগ্য গণপরিবহন দিবানিশি, বিহঙ্গ, রবরব, গ্রামীণ পরিবহনকে কাকলীতেই থামিয়ে দেয়া হচ্ছে। ফলে অফিসগামী মানুষকে পায়ে হেঁটে পৌঁছাতে হচ্ছে গুলশান-২ এবং আশপাশের নিজ নিজ কর্মস্থলে।
গুলশান অভিমুখে গাড়ি থামিয়ে দেয়া হচ্ছে কাকলী ও নতুন বাজারে। ব্যারিকেড বসানো হয়েছে গুলশান-২ এ প্রবেশের সকল পথে।
তবে গুলশান থেকে বের হতে পারছে যেকোন গণপরিবহন। প্রাইভেট কারে নিষেধাজ্ঞা নেই তবে তল্লাশির মুখে পড়তে হতে হচ্ছে কয়েক জায়গায়।
সূত্রটি জানায়, আগে কাকলীতে পুলিশ ছিল না। আজ ব্যারিকেড ও পুলিশের চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। অনেকটা রণসাজে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত ৪ জানুয়ারি থেকে গুলশানে রাজনৈতিক কার্যালয়ে অবরুদ্ধ হয়ে আছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। মূল ফটকে তখন থেকেই একাধিকবার তালা লাগানো ও খোলার নাটক করা হয়েছে।
সরকারের পক্ষ থেকে খালেদাকে অবরুদ্ধ করার কথা অস্বীকার করা হলেও কার্যালয় থেকে শুধু নিজ বাসায় যাওয়ার অনুমতি দেয়া হচ্ছে। খালেদা জিয়াও গৃহবন্দি হওয়ার চেয়ে কার্যালয়ে অবরুদ্ধ থাকাকেই বেছে নিয়েছেন।
এদিকে তার কার্যালয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের অবস্থান আরো জোরদার করা হয়েছে।  রোববার এক প্লঅটুন আর্মড ব্যাটারিয়ন পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
এদিকে গত ১৫ জানুয়ারি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খানের গুলশানের বাসায় ঢাকায় নিযুক্ত কয়েকটি দেশের কূটনীতিকরা বৈঠকে করেছেন।
বৈঠকে কানাডা, সুইডেন ,নরওয়ে, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস ও ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের আবাসিক প্রতিনিধিরাসহ বেশ কয়েকজন কূটনীতিক ছিলেন বলে জানা গেছে।
এর আগে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী রিয়াজ রহমানকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার হরতাল পালন করে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট। এর পরিপ্রেক্ষিতে গভীর উদ্বেগ জানায় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।