ঢাকাসোমবার , ১৯ জানুয়ারি ২০১৫
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও অন্যান্য
  5. খেলাধুলা
  6. গল্প ও কবিতা
  7. জাতীয়
  8. তথ্যপ্রযুক্তি
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম ও জীবন
  11. প্রবাস
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ প্রতিবেদন
  15. মুক্তমত
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সহিংসতার প্রতিবাদে অনশনে ৪ তরুণ

দৈনিক পাঞ্জেরী
জানুয়ারি ১৯, ২০১৫ ১১:০৫ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

Sylhet 1সিলেট প্রতিনিধি : রাজনৈতিক আন্দোলনের নামে সহিংসতার প্রতিবাদে সিলেটে অনশন শুরু করেছেন চার তরুণ। একইসঙ্গে তাদের ঘোষিত দু’দফা বাস্তবায়নেরও দাবি জানিয়েছেন তারা।
‘মানুষ ও মাতৃভূমির ডাকে সাড়া দিন’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে ‘আমরা কয়েকজন সাধারণ বাংলাদেশি’র ব্যানারে টানা ৩৬ ঘণ্টার এই অনশন কর্মসূচি সোমবার থেকে শুরু করেছেন চার তরুণ। এরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া মেহেদী হাসান, মোজাম্মেল হাসান জিন্নাত, মো. আব্দুল্লাহ রাসেল ও মো. রেজাউল হক মুরাদ।
তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রাজনৈতিক সহিংসতার মাধ্যমে নির্বিচারে মানুষ হত্যা ও জনজীবন বিপর্যস্ত করার প্রতিবাদে ও দুই দফা দাবি আদায়ে তারা এই কর্মসূচি পালন করছেন। তাদের দুই দফা দাবি হচ্ছে- ‘অবিলম্বে সাধারণ জনগণের ওপর চলমান অত্যাচার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া’ এবং ‘বিগত বছর ও চলতি বছর মিলিয়ে রাজনৈতিক সহিসংতায় দুইশরও বেশি সাধারণ মানুষ হত্যার জন্য ২০ দল এবং ১৪ দলীয় জোটের অন্তর্ভুক্ত সব রাজনৈতিক দলের দলীয় প্রধানকে জাতির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাওয়া ও ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে না এই মর্মে অঙ্গীকার করা’।
চার তরুণ তাদের এই কর্মসূচিকে সাধারণ মানুষের ‘শান্তির জন্য বিদ্রোহ’ বলেও উল্লেখ করেছেন।
সোমবার সকাল ১০টা থেকে নগরীর চৌহাট্টার আলিয়া মাদরাসার সীমানা প্রাচীর সংলগ্ন ফুটপাতে বসে অনশন শুরু করছেন তারা। শীতের সকালের তীব্র ঠাণ্ডা উপেক্ষা করেই তারা সেখানে অবস্থান নিয়েছেন।
অনশনকারী দলের প্রধান মেহেদী হাসান জানান, গত বছরের শুরুর দিকে নির্বাচনকালীন সহিংসতা থামানোর জন্য ঢাকায় তারা এমন একটি কর্মসূচির আয়োজন করেছিলেন। কিন্তু এর ফল হিসেবে ২০১৪ সালের ১৩ জানুয়ারি পুলিশ তাদের শাহবাগ থানায় ধরে নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, ‘বিগত বছরে বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক কারণে ঘোষিত কর্মসূচি সম্পন্ন না করেই ঘরে ফিরে এসেছিলাম। তবে আশা ছিল, সাধারণ জনগণকে হয়তোবা আর কখনো এ ধরনের বীভৎসতার মুখোমুখি হতে হবে না। কিন্তু বর্তমানে আবারও সেই একই ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে।’
মেহেদী হাসান বলেন, ‘সরকারি দল আর বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলের ক্ষমতার কাড়াকাড়িতে বলির পাঠা হচ্ছে সাধারণ জনগণ। একদিকে ২০ দলীয় জোট ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য হিংস্র হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে সরকার ক্ষমতা রক্ষার জন্য মরিয়া হয়ে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে শুধু বক্তৃতা ও বিবৃতি দিয়েই দায় সারছে। ফলে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ হচ্ছে না।’
নাশকতার জন্য প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে উভয়পক্ষই দায়ী উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘উভয়পক্ষের নাশকতার বলি হচ্ছে আমাদের মতো সাধারণ জনতা।’
সাধারণ মানুষকেই সাধারণ মানুষের জন্য দাঁড়াতে হবে উল্লেখ করে অনশনরত চার তরুণ বলেন, সাধারণ জনতার হয়ে কোনো রাজনীতিক নেতা দাঁড়াবে না বলেই আমাদের জন্য আমরাই কাজ করছি। আমাদেরকেই নিজেদের জন্য দাঁড়াতে হবে। অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হবে। আমরা খুবই সাধারণ কয়েকজন মানুষ। আমাদেরও পরিবার-পরিজন আছে। তাদের কথা ভাবতে হয়, নিজের ভবিষ্যতের কথাও ভাবতে হয়, জীবিকা নির্বাহের কথাও ভাবতে হয়। এতো প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও এই পরিস্থিতিতে আমাদের পক্ষে আর বসে থাকা সম্ভব হচ্ছে না বলেই আমরা অনশন শুরু করেছি।
এদিকে অনশন শেষে আগামী বুধবার বিকেল ৪টায় একই স্থানে মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে পরবর্তী ঘোষণা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তারা।