ঢাকাবুধবার , ২১ জানুয়ারি ২০১৫
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও অন্যান্য
  5. খেলাধুলা
  6. গল্প ও কবিতা
  7. জাতীয়
  8. তথ্যপ্রযুক্তি
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম ও জীবন
  11. প্রবাস
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ প্রতিবেদন
  15. মুক্তমত
আজকের সর্বশেষ সবখবর

নেতাদের ধরতে তালিকা নিয়ে মিশনে পুলিশ

দৈনিক পাঞ্জেরী
জানুয়ারি ২১, ২০১৫ ৯:১২ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

smpসিলেট প্রতিনিধি : সরকারবিরোধী আন্দোলন দমাতে সিলেট বিএনপি ও জামায়াতের অর্ধশতাধিক নেতার তালিকা করে তাদের গ্রেপ্তারের মিশনে নেমেছে সিলেট মহানগর পুলিশ (এসএমপি)। গত কয়েকদিন ধরে এই তালিকানুযায়ী অভিযান চালিয়ে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে তারা।
পুলিশ বলছে, এবার গণগ্রেপ্তার না করে তালিকা নিয়ে রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে ‘নাশকতায় মদদদাতা’ অর্ধশতাধিক নেতাদের গ্রেপ্তরে অভিযানে নামায় দেশের অন্যান্য স্থানের তুলনায় সিলেটে এবার নাশকতা কম হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি ২০ দলীয় জোটের অবরোধ ডাকার পরপরই নগরীতে নাশকতা হতে পারে এই সন্দেহে বিএনপি, জামায়াত, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল, ছাত্রশিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের অতীত ইতিহাস বিবেচনা করে একটি তালিকা করা হয়। এই তালিকায় এসব দলের অর্ধশতাধিক নেতাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়। মূলত অতীতে সিলেটে যাদের ‘পরিকল্পনা ও নেতৃত্বে বিভিন্ন নাশকতা’ হয়েছে এবং যারা গ্রুপিং রাজনীতির নামে নগরীতে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ চালায় তাদেরকেই এই তালিকায় রাখা হয়েছে।
বর্তমানে এই তালিকানুযায়ী পুলিশ তালিকাভুক্তদের বাসা, বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালাচ্ছে। পুলিশের অভিযানে ইতিমধ্যেই তালিকার ১০ জনরে বেশি নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন- সিলেট মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী, সদস্য সচিব বদরুজ্জামান সেলিম, মহানগর জামায়াতের আমির এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আহমেদ চৌধুরী ফয়েজ, মহানগর ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাহফুজুল করিম জেহিন, ছাত্রদল সাপ্লাই গ্রুপের নেতা আব্দুল্লাহ শাফি সাহেদ প্রমুখ।
অন্যদের ধরতেও নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক আলী আহমদ, মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকি, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি শামছুজ্জামান জামান, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুল আহাদ খান জামালসহ বিভিন্ন নেতাদের বাসা-অফিসে অভিযান চালিয়েছে ও চালাচ্ছে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, অন্যান্য সময় রাজনৈতিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে গণগ্রেপ্তার চালানো হতো। এতে করে অনেক নিরীহ মানুষও হয়রানির শিকার হতো। কিন্তু এবার পুলিশ গণগ্রেপ্তার না চালিয়ে তালিকা করে অভিযানে নামায় একদিকে কোনো নিরীহ মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছেন না, অন্যদিকে গ্রেপ্তার হওয়ার ভয়ে তালিকাভুক্ত নাশকতাকারীরা রয়েছেন আত্মগোপনে। যে কারণে দেশের অন্যান্য স্থানের তুলনায় এবার সিলেটে নাশকতা কম।
এ ব্যাপারে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. রহমত উল্লাহ বলেন, ‘যারা হরতাল-অবরোধ আহ্বান করে মূলত তারাই নাশকতা চালায়। পুলিশ জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় নাশকতার মূল হোতাদের ধরতে তালিকা করে অভিযান চালাচ্ছে। এদেরকে ছাড় দেয়া হবে না।’ অভিযানে ইতিমধ্যে সেলিম, জুবায়েসহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।