দুর্নীতি মামলার আসামি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পলাতক চিকিৎসক ডা. আতিয়ার রহমানকে জেলহাজতে পাঠিয়েছে আদালত।
রোববার ঢাকা মহানগর বিশেষ জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মোসাম্মৎ জাকিয়া পারভীনের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করেন তিনি। শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন আবেদন না-মঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
জামিন আবেদনের ওপর আসামি পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম সেলিম ও অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন বিপ্লব।
এর আগে গত ২৭ আগস্ট এ মামলায় ঢামেক হাসপাতালের সাবেক পরিচালকসহ পাঁচজনকে জেলহাজতে পাঠান আদালত।
তারা হলেন- ঢামেকের সাবেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) বজলে কাদের, সাবেক উপ পরিচালক ডা. মো. ফয়জুল্লাহ, এইচএন সার্জিক্যাল মার্টের স্বত্বাধিকারী হাবিবুর রহমান, ঢামেকের সাবেক দুই ক্যাশিয়ার নজরুল ইসলাম (১) এবং নজরুল ইসলাম (২)।
তবে ওইদিন বিচারক আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে আদালত থেকে সুকৌশলে পালিয়ে যান অপর দুই আসামি ডা. মোহাম্মদ মশিউর রহমান ও ডা. আতিয়ার রহমান।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০০৯-২০১০ অর্থবছরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল বজলে কাদের কর্মরত ছিলেন। ওইসময় ইসিজি সার্কিট, হাই গ্লোসি প্রিন্টিং পেপার ও নিডল কেনার জন্য দরপত্র আহ্বান করলে তিনটি প্রতিষ্ঠান কোটেশন দাখিল করে। এর মধ্যে এইচ এন সার্জিক্যাল মার্টকে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে কার্যাদেশ দেয়া হয়।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ওইসময়ের বাজারদরের চেয়ে উচ্চ মূল্য দেখিয়ে দুই কোটি ৩১ লাখ ৮২ হাজার ৯২০ টাকা আত্মসাতের মাধ্যমে সরকারের ক্ষতি করে।
এ ঘটনায় ২০১১ সালের ১৬ নভেম্বর দুদকের সহকারী পরিচালক সৈয়দ তাহসিনুল হক বাদী হয়ে আট জনকে আসামি করে রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এ বছরের ১৫ মে সাতজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের আরেক সহকারী পরিচালক ফজলুল হক।