অর্থনৈতিক প্রতিবেদক
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, গত মাসের (আগস্টের) মধ্যে কারখানায় পরিদর্শক নিয়োগ করার কথা থাকলেও আইনি জটিলতার কারণে তা সম্ভব হয়নি। তবে আশা করছি আগামী অক্টোবর মাসের মধ্যে ২০০ পরিদর্শক নিয়োগ করা সম্ভব হবে।
রোববার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সোস্যাল কমপ্লায়েন্স ফর আরএমজির ২৫তম সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘আন্তর্জাতিকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ কারখানার পরিমাণ ২ শতাংশ। কিন্তু দেশে ঝুঁকিপূর্ণ কারখানা পরিমাণ ২ শতাংশের কম। ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতারা যৌথভাবে বাংলাদেশের ১৯০০ কারখানা পরিদর্শন করে এ তথ্য জানিয়েছে।’
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে গার্মেন্টস মালিক-শ্রমিক সম্পর্ক ভালো রয়েছে। গত ঈদে শুধু তোবা ছাড়া আর কোনো গার্মেন্টসে সমস্যা হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘তোবা নিয়ে বহিরাগতরা অহেতুক ইস্যু করে গোলমাল করতে চেয়েছিল। কিন্তু তারা সফল হয়নি। তোবার মালিক বলেছে, বীমার টাকা পেলে আবার কারখানা চালু করবে। সরকার এই বিষয়ে আন্তরিক রয়েছে। আমরা সংশ্লিষ্ট বীমা কোম্পানির মালিকের সঙ্গে কথা বলেছি অর্থ ছাড়ের বিষয়ে।’
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘রানা প্লাজার পর আর বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। শ্রমিকদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রে আমদানি ডিউটি ফ্রি করে দেয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘৮ হাজার ৮৬২ বাংলাদেশি পণ্য ডিউটি ফ্রি প্রবেশের সুবিধা দেবে জাপান সরকার। চীন দিচ্ছে ৫ হাজার আইটেম। চিলি ২০১৫ সালের বাংলাদেশি পণ্য ডিউটি ফ্রি প্রবেশের সুবিধা দেবে।’