আন্তর্জাতিক ডেস্ক
বাল্যবিবাহ ধর্ষণের চাইতেও খারাপ এবং এই প্রথাটিকে সমাজ থেকে পুরোপুরি উৎখাত করা উচিত। শনিবার যৌতুক সংক্রান্ত এক মামলার রায় দিতে গিয়ে এ কথা বলেছেন দিল্লির এক আদালত।
শনিবার দিল্লির ম্যাট্রোপলিটন মেজিস্ট্রেট শিবানি চৌহান এক যৌতুক সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলাকালে বলেন, ‘বাল্যবিবাহ ধর্ষণের চাইতেও খারাপ এবং এই প্রথাটি সমাজ থেকে পুরোপুরি নির্মূল করতে হবে।’ তবে তিনি মনে করেন, রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারকগণ এ বিষয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা না নিলে একে মোকাবেলা করা সম্ভব হবেনা।
ভারতের এক বাবা-মা যৌতুকের জন্য তাদের মেয়েটিকে তার স্বামী এবং শ্বশুর-শাশুড়ি নানাভাবে হয়রানি করছে বলে অভিযোগ করে একটি মামলা দায়ের করে। শনিবার ওই মামলার শুনানি চলাকালে ম্যাজিস্ট্রেট শিবানি বলেন, ‘সমাজে বাল্যবিবাহের নানা ধরণের কুপ্রভাব রয়েছে এবং এবং শিশুদের বিরুদ্ধে এটিই হচ্ছে সবচেয়ে বড় পারিবারিক নির্যাতন। আর এই নির্যাতনের জন্য কেবল মেয়েদের স্বামী আর শ্বশুরবাড়ির লোকেরাই দায়ি নন। তার নিজের বাবামাও একই অপরাধে অপরাধী।’
তিনি আরো বলেন, বাল্যবিবাহের ফলে মেয়েরা শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত হয় এবং তাদের ওপর নানা রকম যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়। ফলে আইচআইভিসহ অন্যান্য রোগব্যাধীতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। এছাড়া প্রসবকালে এসব কিশোরীদের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
মামলার শুনানি থেকে জানা যায়, ২০১১ সালে মাত্র ১৪ বছর বয়সে মেয়েটির বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের কাগজপত্রে তার শ্বশুরবাড়ি এবং নিজের পরিবারের লোকজন তার বয়স বাড়িয়ে দেখান। এ সত্য প্রকাশ পাওয়ার পর আদালত পুলিশকে মেয়েটির বিবাহ সংক্রান্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখার এবং ‘শিশু বিবাহ আইন’ লঙ্ঘণ করায় নিজের বাবা-মা এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।