ঢাকারবিবার , ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও অন্যান্য
  5. খেলাধুলা
  6. গল্প ও কবিতা
  7. জাতীয়
  8. তথ্যপ্রযুক্তি
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম ও জীবন
  11. প্রবাস
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ প্রতিবেদন
  15. মুক্তমত
আজকের সর্বশেষ সবখবর

আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি প্রসারে কাজ করছে পূর্বাঞ্চলীয় সমন্বিত কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প

দৈনিক পাঞ্জেরী
সেপ্টেম্বর ৭, ২০১৪ ১:৪৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

EIADনিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের ৪টি অঞ্চলের ১৩টি জেলার ১১০ উপজেলায় আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি প্রসারের মাধ্যমে ভূমিহীন, ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছে পূর্বাঞ্চলীয় সমন্বিত কৃষি উন্নয়ন (২য় পর্যায়) প্রকল্প। কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতায় বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ১৮ কোটি ৯৩ লাখ ৬৬ হাজার টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে।
জানা গেছে, পূর্বাঞ্চলীয় সমন্বিত কৃষি উন্নয়ন (২য় পর্যায়) প্রকল্পের বাস্তবায়নকাল জুলাই ২০১২ হতে জুন ২০১৫ সাল পর্যন্ত। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, দেশের পূর্বাঞ্চলের ৮টি জেলায় কৃষি প্রযুক্তি বিস্তারে ২০০৬ সাল থেকে ৪ বছর মেয়াদে ১ম পর্যায়ের কার্যক্রম শুরু হয় পূর্বাঞ্চলীয় সমন্বিত কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের। কৃষকদের মাঝে প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে তাদের জীবনমান উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখায় এবং সময়োপযোগিতার কারণে ১ম পর্যায় শেষে এর কার্যক্রম আরও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ২য় পর্যায়ে ৩ বছর মেয়াদে প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।
প্রকল্পের উপযোগিতা সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ সারওয়ারী মেহেদী মোবারক বলেন, বাংলাদেশে ক্রমহ্রাসমান কৃষিজমি থেকে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য ও পুষ্টি চাহিদা মিটিয়ে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের জন্য প্রয়োজন স্বল্প সময়ে অধিকতর খাদ্য উৎপাদন। আর এ জন্য প্রয়োজন সমন্বিত কৃষি সেবা এবং আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির প্রসার। এ লক্ষ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এলাকাভিত্তিক প্রকল্প প্রণয়নের মাধ্যমে কৃষকদের লাভজনক ও টেকসই প্রযুক্তি সম্প্রসারণে কাজ করে যাচ্ছে।
উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে অধিক ফসল উৎপাদনের মাধ্যমে ভূমিহীন, ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীদের আয় বৃদ্ধি ও তাদের পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে প্রকল্পটি কৃষিভিত্তিক স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ায় অনেকাংশে অবদান রাখতে পারবে বলে সংশ্লিষ্টরা অভিমত ব্যক্ত করেছেন। এর পাশাপাশি ক্ষুদ্র কৃষক পরিবারের শস্য উৎপাদনে বহুমুখীকরণ ও নিবিড়করণসহ অন্যান্য গ্রামীণ এন্টারপ্রাইজ প্রতিষ্ঠায় উদ্বুদ্ধকরণেও কাজ করছে এই প্রকল্প। এর সাথে কৃষি সম্প্রসারণ কার্যক্রম জোরদারকরণে প্রদর্শনী, কৃষক ও সম্প্রসারণ জনবলের জন্য প্রশিক্ষণ ও কৃষি যন্ত্রপাতিসহ অফিস সরঞ্জাম সরবরাহ, মাঠ দিবস, উদ্বুদ্ধকরণ ভ্রমণ, কৃষি মেলা, কর্মশালাসহ প্রয়োজনীয় আরো কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে প্রকল্পটির তত্ত্বাবধানে।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩-২০১৪ অর্থ বছরে প্রকল্পের অনুকূলে রাজস্ব খাতে ৭ কোটি ৭৪ লাখ লাখ টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়। এর মধ্যে ৭ কোটি ৭৩ লাখ ৮ হাজার ৬শ’ ৭০ টাকা ব্যয় হয়েছে। অর্থাৎ, উল্লেখিত অর্থ বছরে প্রকল্পের আর্থিক অগ্রগতির হার ৯৯.৯৮ শতাংশ এবং ভৌত অগ্রগতির হার ১০০ শতাংশ। এই সময়ে প্রকল্পভুক্ত অঞ্চলে ৮টি আঞ্চলিক কর্মশালা, ১০ হাজার ৬শ’ ৮০টি প্রদর্শনী এবং একই সংখ্যক মাঠ দিবস বাস্তবায়ন করা হয়েছে। প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের আওতায় ১০ হাজার ৬শ’ ৮০ জন প্রদর্শনীভুক্ত কৃষক-কৃষাণীকে, ৮ হাজার ৪শ’ জন উপকারভোগী কৃষক-কৃষাণীকে, ৭শ’ ৫০ জন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে এবং অধিদপ্তরের ২শ’ ৪০ জন কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে প্রকল্পের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২ হাজার ৫শ’ ‘মাঠ কার্যক্রম নির্দেশিকা’ তৈরি করা হয়েছে। এ ছাড়া, ডিপিপি’র সংস্থান মতে, ৭টি ক্রয় প্যাকেজের আওতায় ৫৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ১টি ডাবল কেবিন পিকআপ, প্রায় ৩৫ লাখ টাকা ব্যয়ে অফিস আসবাবপত্র, ১৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ৮৬০টি ন্যাপস্যাক হ্যান্ডস্প্রেয়ার ক্রয় করা হয়। এ ছাড়া, ১২টি ফটোকপিয়ার মেশিন, ৩০টি ডেক্সটপ কম্পিউটার, ৭টি ল্যাপটপ ও ৫টি মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর ক্রয় করা হয় বলে প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে।
চলতি ২০১৪-২০১৫ অর্থ বছরে প্রকল্পের অনুকূলে এডিপি বরাদ্দকৃত ৬ কোটি টাকার কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এই সময়ে ৮ ধরণের প্রযুক্তির ৮ হাজার ৪শ’ প্রদর্শনী, একই সংখ্যক মাঠ দিবস, ২৮০ ব্যাচ প্রদর্শনীভুক্ত কৃষক প্রশিক্ষণ, ১৭২ ব্যাচ উপকারভোগী কৃষক প্রশিক্ষণ, ৪৩ ব্যাচ উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও অন্যান্য প্রশিক্ষণসহ ১০ ব্যাচ কর্মকর্তা প্রশিক্ষণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া, প্রকল্পভুক্ত জেলায় কৃষকদের নিয়ে ৬০টি উদ্বুদ্ধকরণ  ভ্রমণ, ৫৩টি কৃষি মেলা এবং আঞ্চলিক পর্যায়ে ৮টি কর্মশালা আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানা গেছে। এ ছাড়া, ৩৩টি মোটরসাইকেল ক্রয়, ২২টি ডিজিটাল ক্যামেরা, ২৩টি স্ক্যানার মেশিন, ২৪টি আইপিএস, স্পাইরাল বাইন্ডিং  মেশিন, লেমিনেটিং মেশিন এবং ২টি এয়ার কনডিশনার ক্রয়ের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানা গেছে।আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি প্রসারে কাজ করছে পূর্বাঞ্চলীয় সমন্বিত কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প