নিজস্ব প্রতিবেদক :
হলফনামায় তথ্য গোপন ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে রাজশাহী -৪ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য এনামুল হককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ।
দুদক কার্যালয় থেকে বের হয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমার বিরুদ্ধে হলফনামায় তথ্য গোপনের যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সত্য নয়।’ তিনি অনেকটা চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেন, ‘দুদক আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পারবে না। ’
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সোমবার সকাল ৮টা ১০ মিনিট থেকে টানা ১১টা পর্যন্ত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ১১ টার পরে এনামুল হক দুদক কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যান।
সূত্র জানায়, দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা এনামুল হকের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ২০০০ কোটি টাকার সম্পদের খোঁজ পেয়েছেন যা মামলা করার জন্য যথেষ্ট। তবে তার বিরুদ্ধে মামলা করা যাবে কিনা তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, সরকার দলীয় এই সংসদ সদস্য তদন্ত কর্মকর্তার ওপর প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
জানা গেছে, এনামুল হককে আজ সকাল ৯টার পরে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা ছিল। কিন্তু তিনি নিজেই তদন্ত কর্মকর্তাকে ফোন করে তার কাঙ্খিত সময়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে বলেন। তদস্ত কর্মকর্তা তাতে সম্মত হন।
এদিকে হলফনামা সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালে শুধু বেতন-ভাতা থেকে তার বছরে আয় ছিল ২০ লাখ টাকা। পাঁচ বছর পরে এখন কৃষি, বাড়ি ও দোকান ভাড়া, ব্যবসা ও পেশা থেকে বছরে তার আয় হয় ৫০ লাখ টাকা।
তার নিজের, স্ত্রীর ও নির্ভরশীলদের মোট ১৬ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার টাকার সাধারণ শেয়ার, তার স্ত্রীর অস্থাবর সম্পদ পাঁচ বছরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে আট কোটি ৩৪ লাখ ৬৫ হাজার ৫০০ টাকায়। নগদ হিসেবে নিজের ১০ লাখ টাকা ও স্ত্রীর হাতে পাঁচ লাখ টাকা দেখিয়েছেন। নিজ নামে ব্যাংকে আছে আট লাখ ৫৮ হাজার ৯১ টাকা ও স্ত্রীর নামে এক লাখ ৫৫ হাজার ৫০০ টাকা।