গত শুক্রবার টঙ্গির আন-নূর মসজিদে রমজানে ইবাদতে ভালো পারফর্মেন্সকারীদের সাইকেল পুরস্কার বিতরণ করা হয়। রমজানের এ পুরস্কার দেয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন মসজিদ কমিটির সভাপতি ও সেক্রেটারী এবং এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তি আয়োজনে নেতৃত্ব দেন মসজিদের সম্নানিত খতিব আলী হাসান তৈয়ব প্রতিবার রমজান মাস এলেই আমরা মসজিদ থেকে তরুণদেরকে উদ্বুদ্ধ করতে কিছু প্রতিযোগিতার ঘোষণা দিয়ে থাকি। এবার আমরা দুই ধরনের প্রতিযোগিতার ঘোষণা দিয়েছিলাম। গত ০৪-০৮-২০২৩ তারিখ (শুক্রবার) টঙ্গি গাজীপুর আন-নূর জামে মসজিদে এ আয়োজন করা হয়।
১— সাইকেল প্রতিযোগিতা
যেসব কিশোর তিনটি আমল করতে পারবে তাদেরকে সাইকেল পুরস্কার দেওয়া হবে : ১. রমজান জুড়ে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত মসজিদে আদায় করা, ২. মাসজুড়ে তারাবি ভেতর পর্যন্ত পুরোটা আদায় করা ৩. এবং কমপক্ষে এক খতম কোরআন তেলাওয়াত করা।
আমরা সেখানে ১৮ জনকে পেয়েছি এই চ্যালেঞ্জে বিজয়ী হতে। এদের মধ্যে পূর্ণতা ও পারফেকশন বিবেচনা করে পাঁচ জনকে দেয়া হল সাইকেল পুরস্কার। বাকিদেরও দেওয়া হয়েছে উন্নত দামি সান্ত্বনা পুরস্কার।
২— রমজান প্ল্যানার পূরণ প্রতিযোগিতা।
কিশোরদের যেটা আমাদেরকে সবচেয়ে বেশি মুগ্ধ করেছে, তা হলো রমজানের পরে তাদের নামাজে নিয়মানুবর্তিতা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। ঈদের দিনের ফজর থেকে নিয়ে তীব্র বৃষ্টির দিনের ফজর পর্যন্ত তাদের উপস্থিতি আশা জাগানিয়া। আর সাইকেলবিজয়ী এই পাঁচ কিশোর ছাড়িয়ে গেছে বিশ্বের সব সীমা। এরা কেউ নয়টি, কেউ সাতটি থেকে নিয়ে তিনটি চারটি করে কুরআন খতম করেছে।
এদের মধ্যে যে প্রথম হয়েছে সে আমাদের মসজিদের মক্তব থেকে কুরআন শিখেছে। সে স্থানীয় শফিউদ্দীন একাডেমির ছাত্র। কিন্তু জুব্বা পড়ে মসজিদে তার নিয়মিত উপস্থিতি এবং অনুষ্ঠানে হিফজ প্রতিযোগিতার মতো চমৎকার তেলাওয়াত সবাইকে মুগ্ধ করেছে। সার্বিক দায়িত্বে ছিলেন টঙ্গি আন-নূর জামে মসজিদের খতিব আলী হাসান তৈয়ব তিনি বলেন
আমরা এই সন্তানদের জন্য দোয়া করি— ওরা যেন ভবিষ্যতে বিসিএস ক্যাডার হয়ে একেক জন মুত্তাকী নাগরিক হিসেবে দেশ ও সমাজকে উপকৃত করে।