সংবিধান সংশোধন নিয়ে ড. কামাল হোসেনের প্রশ্ন তোলার নৈতিক অধিকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় খাজা নিজাম উদ্দিন মিলনায়তনে ‘বঙ্গবন্ধু একাডেমি’ আয়োজিত চলমান রাজনীতি বিষয়ক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ড. কামাল হোসেন ৭০ এর নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর ছেড়ে দেয়া আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত হয়ে ৭২ সালে সংবিধান রচনা করেছিলেন। এই সংবিধান দিয়ে দীর্ঘ ৪ দশক দেশ চলেছে।’
তিনি বলেন, ‘এখন সংবিধান সংশোধন নিয়ে যদি তিনি প্রশ্ন তোলেন। তবে আমিও প্রশ্ন তুলতে চাই ড. কামাল হোসেন যদি বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত হয়ে সংবিধান রচনা করতে পারেন তবে এই সংসদ কেন এটা সংশোধন করতে পারবে না? কাজেই এই সংবিধান সংশোধন নিয়ে ড. কামাল হোসেনের প্রশ্ন তোলার নৈতিক অধিকার নেই। ড. কামাল যে ক্যাটাগরিতে সংবিধান রচনা করেছিলেন। আমরাও সেই ক্যাটাগরিতেই সংবিধান রচনা করছি।’
আমরা সব সময় বলেছি ৭২এর সংবিধানে ফিরে যাব উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তার কয়েকটি ধাপ আমরা পার করেছি। বাকিগুলো ধীরে ধীরে আমরা পূরণ করবো। এটা করলে বিচারপতিদের স্বার্থ ও সংবিধানের মূল চেতনা রক্ষা করা হবে।’
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘আগে বিচারপতিদের অভিশংসনের বিষয়টা ৩ জন বিচারপতির হাতে ছিল। এখন এই সংশোধনী হলে কোন বিচারপতিকে সরানোর ক্ষমতা ৩ জনের হাতে আর থাকবে না। কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে প্রথমে বিচারবিভাগ তদন্ত করে সংসদের কাছে প্রতিবেদন পেশ করবে। পরে সংসদ সদস্যদের দুই তৃতীয়াংশের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী একে খন্দকারের বিষেয় তিনি বলেন, ‘তিনি একজন সৌভাগ্যবান ব্যক্তি। কারণ তিনি ইতিপূর্বের সব সরকারের কাছ থেকে সুযোগ সুবিধা নিয়েছেন। সে যদি সত্য কথাই বলবে তবে মন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে বই লিখলেন না কেন? এর মাধ্যমেই প্রমাণিত হয় ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই তিনি এই বই লিখেছেন।’
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির মিজির সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামছুল হক টুকু, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ফয়েজ উদ্দিন মিয়া, সাম্যবাদী দলের নেতা হারুন চৌধুরী প্রমুখ।