চট্টগ্রাম প্রতিনিধি :
চট্টগ্রামের বেসরকারি বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয় হঠাৎ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বার কাউন্সিলে অন্তর্ভুক্তি (এনরোলমেন্ট) পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ না পাওয়া প্রায় দুইশ শিক্ষার্থীর লাগাতার আন্দোলনের মুখে পরিস্থিতি মোকাবেলায় আজ মঙ্গলবার থেকে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার সালাউদ্দিন শাহরিয়ার বলেন, ‘বিভিন্ন মিডিয়ার রির্পোটকে কেন্দ্র করে আইন বিভাগের ছাত্রদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে রাখছে তারা। ফলে কোনো কাজই করা যাচ্ছে না। পরিস্থিতি মোকাবেলায় ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিজিসি ট্রাস্টের স্থায়ী ক্যাম্পাস বন্ধ করা হয়েছে।’
জানা গেছে, সকাল থেকে চন্দনাইশস্থ ক্যাম্পাসে অর্ধশত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ক্যাম্পাসে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সমাবেশ করছে।
পুলিশ মোতায়েনের বিষয়টি চন্দনাইশ থানার ওসি বদিউজ্জামান স্বীকার করেছেন।
স্থায়ী ক্যাম্পাসের আইন বিভাগের ৮ম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী নাওশাদ বলেন, ‘বিজিসি অথরিটি রাতের অন্ধকারে ক্যাম্পাস বন্ধ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব যানবাহন চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে জানতে পারলাম ক্যাম্পাস বন্ধ। ক্যাম্পাস বন্ধ হলেও আমাদের আন্দোলন বন্ধ হবে না।’
এদিকে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা গত শনিবার চট্টগ্রাম নগরীর প্রবর্তক মোড়স্থ ক্যাম্পাসে ভাঙচুর ও গতকাল সোমবার চন্দনাইশস্থ স্থায়ী ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরা চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক দুই ঘণ্টা অবরোধ করে রাখে।
সম্প্রতি বার কাউন্সিলের লিগ্যাল এডুকেশন কমিটি বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সাতটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের এনরোলমেন্ট পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ না দিতে সুপারিশ করে। এর ফলে এনরোলমেন্ট পরীক্ষায় বিজিসি’র প্রায় দুইশ শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।