জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার টিয়াবৃনিয়া বিলের চিংড়ি চাষী আতাউর রহমান বলেন, ‘শুনেছি চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ করা হচ্ছে। তিনি প্রশ্ন করলেন চিংড়িতে যদি পুশ করা থাকে তবে ডিপো মালিকরা কিনছেন কেন?
গুটুদিয়া গ্রামের ক্ষুদ্র ডিপো মালিক (ক্ষুদ্র ক্রেতা) কাজী পলাশ বললেন, ‘আমরা তো পুশ করি না। পাইকার (বড়) ডিপো মালিকরা চিংড়িতে পুশ করছে।’
তিনি বলেন, বর্তমানে চিংড়ি চাষীরা ঘের থেকেই চিংড়িতে বিভিন্ন দ্রব্য পুশ করে ওজন বাড়িয়ে আনছে।’
ওর্য়াল্ড ফিসের এ্যাকুয়া কালচার ফর ইনকাম এ্যান্ড নিউট্রিশান প্রজেক্টর প্রকল্প ব্যবস্থাপক কুদরত-ই কবির বলেন, ‘চিংড়িতে অপদ্রব্য ঢোকানোর প্রবণতা বন্ধ হওয়া উচিত। না হলে সাদা সোনা বলে খ্যাত এ শিল্পের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মুখে পড়বে। পুশকৃত চিংড়ি রপ্তানি হলে বহিঃর্বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে।’
খুলনা জেলা মৎস্য অফিসার প্রফুল্ল সরকার বলেন, ‘চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ বন্ধ করতে মৎস্য অধিদপ্তর র্যাব, পুলিশসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কাজ করছে। ইতোমধ্যে অনেককেই জরিমানাসহ কারাদণ্ডও দেয়া হয়েছে। নষ্ট করা হয়েছে অপদ্রব্য পুশকৃত চিংড়িও।’
তিনি বলেন, ‘গত ৮ মাসে ( জানু-আগষ্ট) ১৮৩টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়েছে। পুশকারীদের কাছ থেকে জরিমানা আদায় করা হয়েছে ২৭ লাখ ৯ হাজার ৫০০ টাকা। তা ছাড়া ৫টি মামলায় ৭ ব্যক্তিকে বিভিন্ন মেযাদে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এ সময়ে পুশকৃত চিংড়ি নষ্ট করা হয়েছে ৫৮৩ কেজি।’
খুলনা চেম্বার অব কর্মাস এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক পরিচালক মোস্তফা কামাল খোকন বলেন, ‘দেশের অন্যতম রপ্তানি পণ্য চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ বন্ধ হওয়া দরকার না হলে রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ খাত থেকে বৈদেশিক মুদ্রা আয় কমে যাবে।’
বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুড এক্সপোর্টাস এসোসিয়েশনের কর্মকর্তা (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বলেন, ‘বাংলাদেশে উৎপাদিত চিংড়ির চাহিদা প্রচুর। মাঠ পর্যায়ের ডিপো মালিকরা অধিক মুনাফা লাভের আশায় চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ করে ওজন বৃদ্ধি করছে। এতে চিংড়ির গুণগতমান নষ্ট হয়।’
তিনি বলেন, ‘অপদ্রব্য পুশকৃত চিংড়ি আমদানিকারকরা দেশে ফেরত পাঠায়। এতে বৈদেশিক মুদ্রা আয় কমে যায়।