ঢাকামঙ্গলবার , ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও অন্যান্য
  5. খেলাধুলা
  6. গল্প ও কবিতা
  7. জাতীয়
  8. তথ্যপ্রযুক্তি
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম ও জীবন
  11. প্রবাস
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ প্রতিবেদন
  15. মুক্তমত
আজকের সর্বশেষ সবখবর

নিজের বিয়ে সম্পর্কে রেলমন্ত্রী
কোনো রকমে রাজি করা হইছে, যদি আবার ফিরে যায়

দৈনিক পাঞ্জেরী
সেপ্টেম্বর ৯, ২০১৪ ৩:৪০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মুজিবুল-হক ‘কোনো রকমে রাজি করা হইছে, যদি আবার ফিরে যায়’ ‘কোনো রকমে রাজি করা হইছে, যদি আবার ফিরে যায়’                             1

নিজস্ব প্রতিবেদক

রেলমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক আর চিরকুমার থাকছেন না। তবে এ নিয়ে বেশি কথা বলতে রাজি নন তিনি। তিনি বলেন, ‘বেশি কথা কওয়া যাইব না। কোনো রকমে রাজি করা হইছে, যদি আবার ফিরে যায়!’

মঙ্গলবার বেলা সোয়া একটার দিকে রেল ভবনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। ঈদ ও দুর্গাপূজায় রেলের অগ্রিম টিকিট বিক্রি উপলক্ষে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

এ সময় সাংবাদিকরা বিয়ের ব্যাপারে মন্ত্রীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কথা সত্যি। সময়মতো সব বলব। তবে চিরকুমার আর থাকছি না।’

বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দুই পক্ষ বসে ঠিক করা হবে বিয়ের অনুষ্ঠান কবে হবে।’

৬৭ বছর বয়সী মন্ত্রী নিঃসঙ্গ জীবন দূর করতে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বিয়ে করতে যাচ্ছেন। পাত্রীর বাড়ি চান্দিনা উপজেলার মীরাখোলা গ্রামে।

কনের চাচাতো ভাই ও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. আবদুল মবিন মুন্সী জানান, কনে হনুফা আক্তার রিক্তা মীরাখোলা গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুন্সী বাড়ির প্রয়াত আবদুল হামিদ উল্লাহ্ মুন্সীর মেয়ে। ২ ছেলে ও ৫ মেয়ের মধ্যে রিক্তা সবার ছোট। রিক্তা স্থানীয় স্কুল থেকে ২০০০ সালে এসএসসি ও ২০০২ সালে এইচএসসি পাশ করেন। পরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করেন। একই  সঙ্গে তিনি এলএলবি পাস করেছেন। তিনি পেশায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী।

একটি সূত্র জানায়, প্রায় ৩ বছর আগে হনুফা আক্তার রিক্তা মীরাখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাইফুল ইসলামের সঙ্গে চাকরির বিষয়ে সুপারিশের জন্য রেলমন্ত্রী (তৎকালীন হুইপ) মুজিবুল হক এমপির কাছে যান। তখনই রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক এমপির সঙ্গে তার পরিচয় হয়।

রেলমন্ত্রীর গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বশুয়ারা গ্রামে। ১৯৪৭ সালে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বশুয়ারার এক মুসলিম পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। পিতা প্রয়াত রজ্জব আলী একজন কৃষক ও পরহেজগার মানুষ ছিলেন। তার মাতা প্রয়াত সোনাবান বিবিও ছিলেন ধার্মিক নারী।

আট ভাই ও এক বোনের মধ্যে মুজিবুল হক সবার ছোট। উত্তর পদুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা লাভের পর মুজিবুল হক কাশিনগর বিএম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করেন ১৯৬৬ সালে। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে তিনি ১৯৬৮ সালে এইচএসসি এবং ১৯৭০ সালে বিকম পাশ করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়া ছাত্র সংগঠন  ছাত্রলীগে যোগ দেন। ছাত্রজীবনেই ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যূত্থানে এবং ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে মুজিব বাহিনীর (বিএলএফ) সদস্য হিসেবে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন।

পরে যুবলীগের কুমিল্লা জেলা সভাপতি, কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্মসম্পাদক ও প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেন তিনি। যুবলীগের রাজনীতির পর মুজিবুল হক কুমিল্লা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসম্পাদক, প্রচার-সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি যুগ্ম-আহ্বায়ক।