ছাত্র আন্দোলন ঘিরে গণহত্যার দায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে গ্রেফতার করতে কূটনৈতিক উদ্যোগ নিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক মানবাধিকার জোট। স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার পূর্ব লন্ডনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানায় গ্লোবাল বাংলাদেশি এলায়েন্স ফর হিউম্যান রাইটস (জিবিএএইচআর)। এতে অতিথি বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক শফিক রেহমান ও তালেয়া রেহমান। বাংলাদেশে সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান ও পরবর্তী পরিস্থিতিতে ৫ দফা দাবিতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
ভারতের সঙ্গে বন্দী প্রত্যর্পণ চুক্তির অধীনে অনুপ চেটিয়াসহ অনেক বন্দী বিনিময়ের দৃষ্টান্ত উল্লেখ করে তারা বলেন, সাম্প্রতিক ছাত্র গণহত্যার বিচারে ভারত সরকারের উচিত বাংলাদেশকে সহায়তা করা। দক্ষিণ এশিয়ার শান্তি ও নিরাপত্তার জন্যেও এই উদ্যোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ‘জিবিএএইচআর’ এর আহ্বায়ক ও সাপ্তাহিক সুরমা সম্পাদক শামসুল আলম লিটন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি ড. ইউনুস সরকারের কাছে ৫ দফা দাবি পেশ করেন।
দাবিগুলো হচ্ছে –
১. দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি এবং আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন।
২. সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গণহত্যা, গুম ও বিচার বহির্ভূত সকল হত্যাকাণ্ডে জড়িত এবং তাদের সহযোগীদের আন্তর্জাতিক মানবতা বিরোধী আদালতে অবিলম্বে বিচার শুরু।
৩. গত ১৫ বছরে স্বৈরশাসন আমলে আটক সকল রাজবন্দীর মুক্তি এবং তাদের নিপীড়নের শিকার হয়ে নির্বাসিত শত শত লেখক, সাংবাদিক ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে ফেরত নেয়ার ব্যবস্থা ও ক্ষতিপূরণ প্রদান।
৪. আগামী ১ বছরের মধ্যে দেড় কোটি প্রবাসীর এনআইডি ও ভোটাধিকার নিশ্চিতকরণ এবং আগামী জাতীয় নির্বাচনে তাদের ভোট প্রদানের নিশ্চয়তাবিধান।
৫. মানবাধিকারের সকল আন্তর্জাতিক ঘোষণা, কনভেনশন এবং বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা অনুসারে সাম্য, মানবিক মর্যাদা এবং সমাজের সর্বস্তরে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ নিশ্চিতকরণে প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে প্রয়োজনে নতুন সংবিধান প্রণয়ন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, ব্যারিস্টার জাকির হাসান শিশির, সিনিয়র ফেলো শেখ আখলাক আহমেদ, রাকেশ রহমান ও হাসনাত আরিয়ান খান।