ঢাকারবিবার , ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও অন্যান্য
  5. খেলাধুলা
  6. গল্প ও কবিতা
  7. জাতীয়
  8. তথ্যপ্রযুক্তি
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম ও জীবন
  11. প্রবাস
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ প্রতিবেদন
  15. মুক্তমত
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ময়মনসিংহে শেখ হাসিনা-রেহানা-কাদেরসহ ১১১ জনের নামে মামলা

ময়মনসিংহ ব্যুরো
সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪ ১১:৪০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থী রিদওয়ান হোসেন সাগর হত্যার ঘটনায় ৫০ দিন পর বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ বাদী হয়ে ময়মনসিংহের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১নং আমলি আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। এতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, স্থানীয় সাবেক এমপি মোহিত উর রহমান শান্ত ও সাবেক সিটি মেয়র ইকরামুল হক টিটুসহ ১১১ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আদালতের বিচারক রওশন জাহান মামলাটি আমলে নিয়ে এ ঘটনায় কোনো মামলা আছে কিনা ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে কোতোয়ালি থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বিবরণে বলা হয়- ১৯ জুলাই বিকাল ৩টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নগরীর টাউন হল মোড় থেকে মিছিলসহকারে ময়মনসিংহ-ঢাকা বাইপাস মোড় পৌঁছলে হাজার হাজার ছাত্র জনতার গণমিছিলে রূপ নেয়। মিছিলটি বাইপাস মোড় থেকে নগরীতে ফিরে আসার সময় সি কে ঘোষ রোড মহিলা ডিগ্রি কলেজের সামনে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের প্রত্যক্ষ প্ররোচনা, উস্কানি ও নির্দেশে অন্য আাসমিরা আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনসমূহের জেলা, মহানগর ও কোতোয়ালি থানা শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ অজ্ঞাতনামা ২০০-২৫০ জন সন্ত্রাসী পূর্ব পরিকল্পনামতো ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে সাধারণ ছাত্র-জনতাকে খুন করার উদ্দেশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র ও চাইনিজ কুড়াল, দা, কিরিচ, চাপাতি, হকিস্টিক, বাঁশ ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সাধারণ ছাত্র-জনতার ওপর আক্রমণ করে।
এ সময় মোহিত-উর-রহমান শান্ত, ইকরামুল হক টিটু ও আমিনুল হক শামীমসহ আসামিরা ছাত্র-জনতার ওপর নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে এবং এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এতে অনেকেই গুলিবিদ্ধ ও দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে রক্তাক্ত জখমপ্রাপ্ত হয়। একপর্যায়ে মোহিত-উর-রহমান শান্ত তার আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে খুন করার উদ্দেশ্যে গুলিবর্ষণ করলে রিদওয়ান হোসেন সাগর (২২) বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আমিনুল হক শামীম, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এহতেশামুল আলম, সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল, সাবেক গৃহায়ন ও গণপুর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, সাবেক এমপি বাবেল গোলন্দাজ, সাবেক সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বাবু, সাবেক এমপি নিলুফা আনজুম পপি, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু, সাবেক এমপি আব্দুল ওয়াহেদ, সাবেক এমপি কাজিমউদ্দিন ধনু, সাবেক এমপি জুয়েল আরেং, সাবেক এমপি, আনোয়ারুল আবেদিন খান তুহিন, সাবেক এমপি মোসলেমউদ্দিন, গফরগাঁও পৌরসভার সাবেক মেয়র ইকবাল হোসেন সুমন, সাবেক সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফ হোসেন, রাসেল, নওশেল আহমেদ অনি, নওশেদ আহমেদ অভি, ফয়জুর রাজ্জাক ওশান, মাজহারুল ইসলাম মবিন, সাজ্জাদ হোসেন শাহীন, তাফসির আলম রাহাত, শাহিনুর, রকিবুল ইসলাম রকিব, ইয়াসিন আরাফাত শাওন, মাকমুদ বেগ, কাজী জাহিদুল ইসলাম পরাগ ওরফে কাজী পরাগ, জেলা যুবলীগের আহবায়ক আজহারুল ইসলাম, পীযুষ কান্তি সরকার, আগুন, আজিজুর রহমান ইমন, আতিকুর রহমান সুমন, মোকসেদুল হাসান আপন, আবু বকর সিদ্দিক সাগর (কাউন্সিলর), মঈন, শরীফ (কাউন্সিলর), পার্থ, শওকত জাহান মুকুল, মোতাহার হোসেন লিটু, আনোয়ার হোসেন ওরফে আনু দারোগা, কসাই আলামীন, সাগর চৌধুরী, অনিক চৌধুরী, আবদুল্লাহ আল মামুন আরিফ, নিতাই, মাসুদ রানা, নজরুল ইসলাম চুন্নু (জাসদ), সোহাগ সওদাগর, রাফিউল আদনান প্রিয়ম, নাহিদ হাসান রাব্বি, রাজিব, আরএস রিপন, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবু সাইদ, চৌরা সেলিম (কাউন্সিলর), মোফাজ্জল হোসেন, সব্যসাচী সরকার, বজলুর রহমান, জাহিদুল ইসলাম নিশাত, মমতাজ উদ্দিন মনতা, উত্তম চক্রবর্তী রকেট, তানজির আহম্মেদ রাজীব, ইয়ন আলম, আরিফুর রহমান ওরফে ডাইল রতন, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আল আমিন, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীর, কাজী আজাদ জাহান শামীম (সাবেক জিএস, আনন্দমোহন কলেজ ছাত্র সংসদ), মুকুল সরকার (সাবেক ভিপি, আনন্দমোহন কলেজ ছাত্র সংসদ), আনিসুজ্জামান (সাবেক কমিশনার), আসাদুজ্জামান রোমেল, রিপন (১১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি), বিপ্লব সরকার বিললু, নিহার রঞ্জন রায় (প্রিন্সিপাল, মিন্টু কলেজ), আফতাব দুর্বার, রনি, গোলাম ফেরদৌস জিলু (সাবেক ভিপি, আনন্দমোহন কলেজ ছাত্র সংসদ), রাপেল, লিটু, আকিব খান পাঠান, সাকি, জয়, ফাহিম শাহরিয়ার অনন্ত, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান মিজান, শফিকুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক লীগের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার সাধারণ সম্পাদক এনামুর রহমান রবি, গৌরীপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান সোমনাথ সাহা, মুক্তাগাছা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসেন সরকার, মুক্তাগাছা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হাই আকন্দ, মাহবুবুল আলম মনি, আরব আলী, এমদাদুল হক ইনু, যদু, সাবেক এমপি এবিএম আনিছুজ্জামান, আশরাফুল ইসলাম মণ্ডল, ইব্রাহীম খলিল নয়ন, আবুল কালাম সামছুদ্দিন, ইকবাল হোসেন, আব্দুর রহমান লেলিন, খন্দকার বাকীবিল্লাহ, রফিকুল ইসলাম রতন, আ. আউয়াল সেলিম (জাতীয় পার্টি), জাহাঙ্গীর আহম্মেদ (জাতীয় পার্টি), সৈয়দ শফিকুল ইসলাম মিন্টু (জাসদ), সাব্বির হোসেন বিল্লাল, হাজী মো. রফিকুল ইসলাম ও সাদিক হোসেন (জাসদ নেতা)।