অর্থনৈতিক প্রতিবেদক
জনতা ব্যাংকের অবক্ষয় হয়েছে এমন বক্তব্যের জন্য অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের ক্ষমা চাওয়া উচিৎ বলে মন্তব্য করেছেন ব্যাংকটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল বারাকাত।
বুধবার বিকেলে প্রেসক্লাবের কনফারেন্স রুমে এক অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।
আবুল বারাকাত বলেন, ‘জনতা ব্যাংকের কোনো অবক্ষয় ঘটেনি। আমি যা বলেছি তা তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতেই বলেছি। অর্থমন্ত্রী না জেনেই ওইসব কথা বলেছেন। তার জনতা ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিৎ।’
এদিন জনতা ব্যাংকের গত পাঁচ বছরের (২০০৯-১৩) সামাজিক দায়বদ্ধতা বা করপোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি (সিএসআর) বিষয়ক প্রতিবেদন ভিত্তিক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান বারকাত এ কথা বলেন।
নিজের সময়ে ব্যাংকের সামাজিক অবদান নিয়ে লিখিত এ বইয়ে মোড়ক উন্মোচন করেন তিনি নিজেই।
আবুল বারাকাত আরও বলেন, ‘আমি যে তথ্য দিয়েছি তা তিনি জানেন কি না? যদি জানেন তাহলে এটা তার অজ্ঞানতা।’
অর্থমন্ত্রী মানুষকে মানুষ হিসেবে মূল্যায়ন করতে ‘শেখেননি’ এমন অভিযোগ করে ড. বারাকাত বলেন, ‘তিনি মানুষকে মানুষ হিসেবে মূল্যায়ন করতে শেখেননি তাই কথায় কথায় তিনি রাবিশ, ফটকা এইসব শব্দ ব্যবহার করেন। আমাদের সংবিধানের ৭ (গ) ধারায় বলা আছে, প্রজাতন্ত্রের মালিক হবে জনগণ। কিন্তু তিনি সেই জনগণকেই কথায় কথায় অপমান করছেন।’
অর্থমন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ এনে বারাকাত বলেন, ‘যে কোনো কাজেন জন্য তিনি নিজ জেলার ভাই-বোন-আত্মীয় এবং তার শুভানুধ্যায়ীদের চাকরির জন্য তদবির করেন। অর্থমন্ত্রী হওয়ার কারণে তার হাত অনেক লম্বা। কিন্তু আমার হাত মাত্র দুইটা। আর এই হাত দিয়ে আমি ন্যায়ের জন্য কাজ করি।’
আবুল বারাকাত আরও বলেন, ‘তিনি (অর্থমন্ত্রী) দেশের জন্য ক্ষতিকর এমন সব তদবির করেন। একটি টিভি চ্যানেলের জন্য ৪০ কোটি টাকা ননফান্ড থেকে ফান্ড হিসেবে দেয়ার জন্য তিনি আমাকে তদবির করেন। আমি তার তদবিরের কারণে টাকা দিয়েছি। এর দায় অর্থমন্ত্রীকে নিতে হবে।’
বারাকাত বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী বলেন, হলমার্কের ৪ হাজার কোটি টাকা কিছুই না অথচ তার তদবিরে ৭/৮ কোটি টাকা না দেয়ায় তিনি বলেছেন, এটা জনতা ব্যাংকের রীতিমতো ডাকাতি।’
অর্থমন্ত্রী ‘বুদ্ধিবৃত্তিক জালিয়াতি’ করেন- এমন অভিযোগ করে আবুল বারাকাত বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী ভদ্রবেশে চলাফেরা করেন, তার পোশাক ভদ্র হলেও তিরিন অবলীলায় মিথ্যা বলে থাকেন।’