ঢাকামঙ্গলবার , ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও অন্যান্য
  5. খেলাধুলা
  6. গল্প ও কবিতা
  7. জাতীয়
  8. তথ্যপ্রযুক্তি
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম ও জীবন
  11. প্রবাস
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ প্রতিবেদন
  15. মুক্তমত
আজকের সর্বশেষ সবখবর

পঞ্চগড়ে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকের দাবিতে অনশন

পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি
ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৫ ১১:০০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালসহ পঞ্চগড়ের সকল সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক সংকট দূর করার দাবিতে অনশন কর্মসূচি পালন করেছে জেলার তরুণ স্বেচ্ছাসেবীরা। জেলার সম্মিলিত স্বেচ্ছাসেবী ফোরামের আয়োজনে মঙ্গলবার জেলা শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে এই অনশন শুরু করে তারা। অনশনে তরুণ স্বেচ্ছাসেবী ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করে। অনশনকারীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে চরম বৈষম্যের শিকার সীমান্ত জেলা পঞ্চগড়ের স্বাস্থখাত। বার বার আন্দোলন করেও সমস্যার সমাধান হয়নি। জেলার সরকারি হাসপাতালগুলোর চিকিৎসকের ১৬৯ টি পদের মধ্যে কর্মরত রয়েছেন মাত্র ৪৫ জন। এছাড়া অন্যান্য জনবল, যন্ত্রপাটি থেকে শুরু সব দিক থেকেই পিছিয়ে এ জেলার স্বাস্থখাত। পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালকে আড়াইশো শয্যায় উন্নীত করার জন্য নতুন বহুতল ভবন নির্মাণ করা হলেও জনবলের অভাবে তা এখনো চালু করা হয় নি। চিকিৎসক না থাকায় জরুরি রোগী নিয়ে রাত দুপুরে এ জেলার অসহায় দরিদ্র মানুষকে ছুটতে হয় রংপুর, দিনাজপুর কিংবা ঢাকায়। পথেই মারা যায় অনেক রোগী। এছাড়া চিকিৎসার চেয়ে যাতায়াত খরচ বেশি পড়ে যায়। যা অনেক দরিদ্র মানুষের পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়। এভাবেই পিছিয়ে পড়েছে জেলা স্বাস্থ ব্যবস্থা। অল্প সংখ্যক যেসব চিকিৎসক রয়েছেন তারা সেবা দিতে নিয়মিত হিমশিম খাচ্ছেন। তাই বৈষম্যহীন স্বাস্থ ব্যবস্থা গড়ে তোলা এবং চিকিৎসক সংকটসহ ৯ দফা দাবিতে তারা অনশন শুরু করেন। সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে সাড়ে ১২ টা পর্যন্ত অনশন করার পর সেখানে উপস্থিত হন জেলা প্রশাসক সাবেত আলী ও সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান। এ সময় তারা অনশনকারীদের জানান, পঞ্চগড়ের চিকিৎসকের বিষয়টি স্বাস্থ মন্ত্রণালয়সহ সরকারের উচ্চমহলে জানানো হয়েছে। তারা শিগগিরই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তাই তরুণদের অনশন ভাঙার অনুরোধ করেন তারা। প্রশাসনের আশ্বাসে প্রায় দুই ঘন্টা পর অনশন থেকে সরে আসে স্বেচ্ছাসেবীরা। এ সময় জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জন অনশনকারীদের পানি পান করান। জেলার সম্মিলিত স্বেচ্ছাসেবী ফোরামের সমন্বয়ক এড. আহসান হাবিব সরকার বলেন, স্বাস্থসেবায় আমরা বরাবরই বৈষম্যের শিকার। এখানে পদের তিন ভাগের একভাগও চিকিৎসক নেই। হাসপাতালে জরুরি রোগী নিয়ে গেলেই রেফার করতে বাধ্য হন তারা। পথেই অনেক রোগী মৃত্যুবরণ করেন। আমরা চিকিৎসা না পেয়ে এমন মৃুত্যু আর চাই না। আপনারা চিকিৎসকসহ জেলার স্বাস্থখাতের সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ না নিলে আমাদের সহজ মৃত্যুর পথ বলে দিন। আমরা সেভাবেই মরতে চাই। কিন্তু চিকিৎসা পেয়ে মরতে চাই না। পঞ্চগড় সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা এ বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কথা বলে আসছি। মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসক দেয়া হবে। উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সের জন্য এরই মধ্যে ২৬ জন চিকিৎসককে পদায়িত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮ জন যোগদান করেছেন বাকি ১৮ জন এখনো যোগদান করেননি। মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের জানানো হয়েছে দ্রুত তারা যোগদান করবেন। শুধু চিকিৎসক নয় এখানে অন্যান্য জনবল, যন্ত্রপাতি ও নিরাপত্তাকর্মীসহ সব সমস্যাই সমাধান করতে হবে। তা না হলে স্বাস্থ সেবা রান করবে না। জেলা প্রশসক সাবেত আলী বলেন, চিকিৎসক সংকটের বিষয়টি স্বাস্থ মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রী পরিষদ বিভাগকে জানানো হয়েছে। সেখান থেকে চিকিৎসক সংকটের বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দেয়া হয়েছে। আমরা আবারো তাদের বিষয়টি অবগত করবো।