ঢাকাবুধবার , ১২ মার্চ ২০২৫
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও অন্যান্য
  5. খেলাধুলা
  6. গল্প ও কবিতা
  7. জাতীয়
  8. তথ্যপ্রযুক্তি
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম ও জীবন
  11. প্রবাস
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ প্রতিবেদন
  15. মুক্তমত
আজকের সর্বশেষ সবখবর

এলজিইডিতে বেড়েই চলছে ভুঁইফোড় সাংবাদিকদের দৌরাত্ম্য  

এম আর সুমন
মার্চ ১২, ২০২৫ ১০:২৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

রাস্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান এলজিইডিতে ভুঁইফোড় বেড়েই চলছে সাংবাদিকদের দৌরাত্ম্য । বিগত ১৭ বছর ফ্যাসিবাদী মনোভাব নিয়ে যে সকল সাংবাদিক এলজিইডিতে আধিপত্য কায়েম করেছিলন তারা আগের মতোই আছেন। সূত্র জানা গেছে, তদ্বির বাণিজ্য, নিয়োগ বাণিজ্য এবং বদলী বাণিজ্যের মাধ্যমে বেশ কিছু ভুঁইফোড় সাংবাদিক বিত্তশালী হয়েছেন। তবে তারা এখনও স্বরূপেই রয়েছেন। তাদের হুমকি ধমকিতে প্রকৌশলী, কর্মকর্তা এবং কর্মচারিরা অসহায় হয়ে পড়েছেন। জানা গেছে, কতিপয় ভুঁইফোড় সাংবাদিক রয়েছেন যাদের সঙ্গে পত্রিকার কোন সম্পর্ক নেই। মাঝেমধ্যে কাগজের সম্পাদকের সঙ্গে যোগাযোগ করে তার আইডি কার্ডটি সচল রাখলেও তারা এলজিইডিতে প্রতিদিন কি করেন কিংবা কেন আসেন তা অধিকাংশ সম্পাদকই জানেন না।ভবনে প্রবেশ করেই বিভিন্ন প্রজেক্টে হানা দেন। সকাল হলেই তাদের পদচারণা বেড়ে যায় এলজিইডিতে। তারা বিভিন্ন প্রকল্প পরিচালকের দপ্তরে নানা অজুহাতে অবস্থান করেন। নানা রকম গল্প বানিয়ে ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করেন। এতে অনেকেই এখন ত্যাক্ত বিরক্ত হয়ে উঠেছেন। কিন্তু ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করছেন না। তবে পেশাদার সাংবাদিকরাও তথ্য উপাত্ত কিংবা ব্যক্তিগত কাজে এলজিইডিতে যাতায়াত করেন। তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, সারাদিনে ২০/২৫জন ভুঁইফোড় সাংবাদিক পেশাগত কাজের বাইরে এলজিইডির বিভিন্ন দপ্তরে যাতায়াত করেন। এই মহান পেশাকে তারা ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছেন। কোন কোন প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ভুয়া অভিযোগ বানিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে ঐ সকল ভুঁইফোড় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে। পেশাগত কাজের বাইরে গিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা প্রকৌশলীদের টেবিল বসে থাকেন। ফলে সরকারি কাজে মারাত্মক বিঘ্ন ঘটছে। প্রকৌশলীরা এর প্রতিকার চেয়ে পেশাদার সাংবাদিকদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। প্রকৌশলীরা বলছেন, কে পেশাদার আর কে পেশাদার নয় তা পরিমাপ করার সুযোগ তাদের নেই। ফলশ্রুতিতে অপেশাদার ভুঁইফোড় ব্যক্তিরাও সাংবাদিক পরিচয়ে নানারকম অনৈতিক সুবিধা আদায়ের চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন। অনেকেই আছেন, যারা বিজ্ঞাপনে কাজ করেন তিনিও পরিচয় দিচ্ছেন সাংবাদিক। এতে অনেকের মাঝেই ক্ষোভ বিরাজ করছে। এলজিইডি প্রকৌশলীরা বলছেন, তাদের প্রকল্প কোন অনিয়মের সঠিক তথ্য প্রচারে তাদের কোন আপত্তি নেই। কিন্তু একশ্রেণির ভুঁইফোড় সাংবাদিক নামধারী ব্যক্তিরা নামকাওয়াস্ত পত্রিকার কার্ড ব্যবহার করে হলুদ সাংবাদিকতার আশ্রয় নিয়ে কারো কারো কাছ থেকে মোটা অঙ্কের হাতিয়ে নিচ্ছেন তারা। সূত্র আর জানায়, এ সব কারণে এলজিইডি প্রশাসন বর্তমানে কঠোর অবস্থানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ভুঁইফোড় সাংবাদিকরা সবাইকে ফ্যাসিবাদ বানানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন। ফলশ্রুতি তারা পেশাদার সাংবাদিক ও সাংবাদিক সংগঠনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।