পর্যটন নগরী কক্সবাজারের নবগঠিত উপজেলা ঈদগাঁও ইসলামাবাদ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যানের গুলিতে ছাত্র প্রতিনিধির পিতা নিহত,খালা ও ফুফিসহ তিনজন গুরুতর আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। শুক্রবার(১৪ মার্চ)রাত সাড়ে দশটার দিকে বর্ণিত ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ডের সিকদার পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা রাজ্জাক চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে নিহতের নিজ বাড়িতে ঢুকে তাকে উপর্যপুরী গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন নিহতের ছেলে এড.আবিদুল হুদা। এতে গুলিবিদ্ধ তার খালা ও ফুফি গুরুতর আহত হয়ে বর্তমানে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলেও জানান। হাসপাতালে নেয়ার পথে গুলিবিদ্ধ হাবিবুল হুদা চৌধুরী প্রকাশ ভি সি আর কালু(৬৫) মৃত্যুবরণ করেন। এলাকাবাসীর মতে,ঘটনার সুত্রপাত ইফতারের কয়েক ঘন্টা আগে জমি-জমার বিরোধে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে কালুর চাচাতো ভাই লিটনের স্ত্রী আহত হয়। নিহত হাবিবুল হুদা চৌধুরী প্রকাশ কালু মরহুম শামসুল হুদা চৌধুরীর পুত্র। মরহুমের তিন ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছেন।নিহতের ছেলে এড.আবিদুল হুদা কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন,ইসলামাবাদ ইউপির চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক ১০/২০ জন সাঙ্গু-পাঙ্গ নিয়ে তাদের বাড়িতে ঢুকে তার বাবাকে গুলি করে হত্যা করেছে। তাদের এলোপাতাড়ি গুলিতে মা ও বোন গুরুতর আহত হয়ে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলেও জানান। জানা গেছে, ইসলামাবাদ ইউনিয়নের অব্যাহতি পাওয়া চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক গং এর সাথে একই এলাকার লিটনদের জমি- জমার বিরোধ দীর্ঘদিনের। সে সূত্র ধরে রাজ্জাক চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নিহতের স্বজনেরা। নিহতের ছেলে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক সাদিদুল হুদা অভিযোগ করেন সন্ধ্যানাগাদ ঘটনার আচঁ করতে পেরে তিনি ঈদগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ফোনে অবগত করলেও তিনি তা সিরিয়াসলি নেননি। তিনি আরও বলেন,পুলিশকে অবহিত করার সাথে সাথে ব্যবস্থা নিলে তাদের বাবাকে এভাবে মরতে হতোনা। তিনি বলেন,তাদের সাথে কোন জমি-জমার বিরোধ ছিলনা কোন কারণ ছাড়াই আমার বাবাকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি পিতা হত্যার বিচার দাবি করেন। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)মোঃমছিউর রহমান বলেন,ঘটনার খবর পাওয়ার সাথে সাথে তিনি পুলিশ পাঠিয়েছেন। এবং এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এখনও পুলিশ মোতায়েন রয়েছে বলেও জানান। এই রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত লাশ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।