গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলার ৩ নং রামশীল ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের জোহরের কান্দির উৎসব হালদারের স্ত্রী কেয়া রায় অপমৃত্যু ঘটনা ঘটে গত ২১/০৯/২০২৪ ইং তারিখে বিকাল ৩টায় প্রথমে তারা শাশুড়ি ও ননদ সুষমা হালদারের সাথে ঝগড়া বাক-বিতণ্ডা হয় পরে তাকে মার মেরে গলায় ফাঁস দিয়ে আড়াইতে ঝুলিয়ে রাখে। মৃত কেয়া বায়ের পিতা কৈশব রায় গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন যে মেয়ে কেয়াকে তো দুই বৎসর আগে যোহরের কান্দি গ্রামের মৃত হরেন হালদারের ছেলে উৎসব হালদারের সাথে হিন্দু ধর্মীয় নিয়ম-নীতি অনুযায়ী বিবাহ হয়, বিবাহের পর কেয়াকে তার শাশুড়ী ও ননদ সুষমা হালদার ঝগড়া ঝাটি করতো। তিনি আরও বলেন যে আমি কয়েক বার উৎসব হালদার ও তার মা বোনকে বুঝায় কিন্তু আমার মেয়েকে নির্যাতন অত্যাচার চালিয়ে যায় আমার মেয়েটি ছিল সাদামাটা মেয়ে তাকে যে ওরা নির্মাম ভাবে হত্যা করবে তা আমি কখনো কল্পনা করিনি। তারা আমার মেয়েকে হত্যা করে গলায় গামছা দিয়ে ঝুলিয়ে রাখে আমি এই হত্যাকাণ্ডের উপযুক্ত বিচার ওর শাস্তির দাবি জানাই বাংলাদেশ সরকারের কাছে। প্রতিবেশী দোকানদার নাম বলতে অনুচ্ছিক তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন যে কেয়াকে আমি চিনি সে উৎসবের স্ত্রী সে একটি ভালো মেয়ে আমাকে কাকিমা বলে ডাকত মৃত্যুর তিন দিন আগে আমার দোকানের সামনে নদী ঘাটলা য় অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায় আমি তাকে মাথায় তেল পানি দিয়ে সুস্থ করি পরে তার জ্ঞান ফেরার পরে সে আমাকে বলে কাকিমা আমার ননদ সুষমা ও আমার শাশুড়ি আমাকে প্রচন্ড মারধর করেছে আমি মাছ সহ্য করতে না পেরে ঘর থেকে দৌড়ে বেড়িয়ে আসি। তখন আমি কেয়া কে বুঝিয়ে বলি মা তুমি ধৈর্য ধরো সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে একদিন। কিন্তু আমরা গ্রামবাসী কেউ বুঝতে পারি নাই এভাবে নিষ্পাপ মেয়েটিকে ওরা মেরে ফেলবে, তাই আমরা ওর হত্যার বিচার চাই। গ্রামবাসী প্রণয় মন্ডল এর স্ত্রী বলেন যে প্রিয়া আমাকে মাসি বলে ডাকতো। আমার স্বামী উৎসবের বাড়ির পুকুর লিছ নিয়ে মাছ চাষ করে, আমি ঐদিন সকালে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে উৎসবদের বাড়িতে যাই উৎসবের মাকে ডাকা ডাকি করি কিছুখন পরে তিনি বের হয় আমি তখন কেয়ার কথা জিজ্ঞাসা করি তখন তিনি আমার কথার উত্তর দেয় না এর কিছু সময়ের পরে আমি ওদের বাড়ির চিৎকার শুনতে পারি, চিৎকার শুনে দৌড়ে বাড়িতে যাই তখন আমি কেয়ার লাশ ঘরের বিতর খাটের উপরে পড়ে থাকতে দেখি।এটা দেখার পরে আমি হাউ মাউ করে কাঁদতে থাকি। এরকম একটা মেয়েকে যারা হত্যা করেছে আমি উপযুক্ত শাস্তি চাই। এ ব্যাপারে ৩নং রামশীল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শ্যামল বিশ্বাস গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন যে আমি উৎসব ও কেয়াকে চিনি এদের ঝগড়া ঝটির কয়েকবার সালিশি করেছি ও মিটিয়ে দিয়েছি। কিন্তু এই হত্যার ব্যাপারে কিছুই জানিনা বলতে ও পারবোনা। গণমাধ্যম কর্মীরা কোটালীপাড়া থানার সাব ইন্সপেক্টর শেখ শহিদুল ইসলামের মুঠো ফোনে ফোন দিলে তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের জানান যে এটি একটি অপমৃত্যু। তার গলায় একটি দাগ পেয়েছি। এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যুর ডাইরি হয়েছে যা পরবর্তীতে মামলায় এজাহার হিসেবে গোপালগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।