ঢাকামঙ্গলবার , ১৮ মার্চ ২০২৫
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও অন্যান্য
  5. খেলাধুলা
  6. গল্প ও কবিতা
  7. জাতীয়
  8. তথ্যপ্রযুক্তি
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম ও জীবন
  11. প্রবাস
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ প্রতিবেদন
  15. মুক্তমত
আজকের সর্বশেষ সবখবর

তথ্য সন্ত্রাসের শিকার চট্টগ্রাম সার্কেলের বন সংরক্ষক!

আসাদ একরাম
মার্চ ১৮, ২০২৫ ৮:৩৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বন অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম সার্কেলের বন সংরক্ষক ড. মোল্যা রেজাউল করিম কি তথ্য সন্ত্রাসের শিকার? এই সহজ-সরল প্রশ্নটি দেখা দিয়েছে তাকে নিয়ে সম্প্রতি কয়েকটি জাতীয় দৈনিক ও অনলাইন পোটালে মনগড়া, অসত্য-বানোয়াট, মিথ্যা ও কাল্পনিক অভিযোগ উত্থাপিত করে একের পর এক তার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন প্রকাশের পর। ওই সব প্রতিবেদনে তার ব্যক্তিগত চরিত্র হনন করে যেভাবে প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে তা রীতিমত তথ্যসন্ত্রাসের সামিল বলে বোদ্দামহলের দাবি। তার বিরুদ্ধে অসত্য উদ্দেশ্যমূলক প্রতিবেদন প্রকাশ করেই শুধু যে ক্ষ্যান্ত হচ্ছে তা নয়, স্থানীয় কোন কোন ব্যক্তি সাংবাদিক পরিচয়ে তাকে টেলিফোনে রীতিমত হুমকিও দিয়ে চলেছে। বিগত স্বৈরশাসক হাসিনা সরকারের আমলে চরম বৈষম্যের শিকার এই কর্মকর্তা যখন চট্টগ্রামের গোটা বনাঞ্চলকে ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসরদের লুটপাট বন্ধে মহতী উদ্যোগ নিয়ে একের একের অবৈধ দখল মুক্ত করে চলেছেন ঠিক তখনই তার বিরুদ্ধে তথ্যসন্ত্রাস চালানো হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সেক্টরের নিষ্ঠাবান কর্মকর্তা ও বিজ্ঞমহল মনে করেন। তার মত একজন যোগ্য ও দক্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এহেন অসত্য-বানোয়াট, মিথ্যা ও কাল্পনিক অভিযোগ সম্বলিত প্রকাশিত প্রতিবেদনে বন সেক্টরের কর্মরত সৎ ও নিষ্ঠাবান কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মক্ষেত্রে অনুৎসাহিত করে তুলছে। এটি একটি চিহ্নিত চক্রের গভীর চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র। ব্যাপক তথ্যানুন্ধানে জানা গেছে, ২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লবের ধারাবাহিকতায় দেশের সব সেক্টরের ন্যায় বন সেক্টরের সংস্কার ও ফ্যাসিস্টদের দোসরদের লুটপাট বন্ধে মহতি উদ্দেশ্য সামনে রেখে সরকার চট্টগ্রাম বন সার্কেলের বন সংরক্ষকের দায়িত্ব প্রদান করেন ড. মোল্যা রেজাউল করিমকে। গত সেপ্টেম্বর মাসের ২ তারিখে এই পদের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন তিনি। নিষ্ঠাবান ও দক্ষ কর্মকর্তা হিসেবে সর্বাধিক পরিচিত ড. মোল্যা রেজাউল করিম দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই নেমে পড়েন চট্টগ্রামের গোটা বনাঞ্চলকে অবৈধ দখলমুক্ত করতে। তিনি জানতে পারেন যে, পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের সাবেক মন্ত্রী হাসান মাহমুদ ও তার ২ ভাই এরশাদ মাহমুদ, খালিদ মাহমুদের গড়ে তোলা সিন্ডিকেটসহ বিগত সরকারের দোসররা সম্মিলিতভাবে গিলে খাচ্ছে চট্টগ্রামের গোটা বনাঞ্চল। তারা শুধু বন উজাড় করেই ক্ষ্যান্ত হচ্ছে না, বনভূমি দখল করে বেচাকেনার অপকর্মেও মেতে উঠেছে। শত শত একর বন ধ্বংস করে চক্রটি আরো আগেই বিরাণভূমিতে পরিণত করে তা তুলে দিয়েছে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের হাতে। সেখানে ব্যক্তি মালিকানায় নির্মাণ হয়েছে বিরাট বিরাট প্রকল্প। তাদের কব্জা থেকে বনভূমি উদ্ধার করা দূরের কথা, টু শব্দটি করার উপায় নেই বন বিভাগের। কারণ সর্ষের মধ্যেই বসে আছে স্বয়ং ভূত। সংঘবদ্ধ ওই দাপুটে চক্র বন ও বনভূমি হাতছাড়া করা, ব্যক্তির হাতে তুলে দেওয়া, বড়বড় প্রকল্প করা, দোকান ঘরবাড়ী, ফিসারী প্রকল্প নির্মাণ করে সরকারী সম্পদ লুটেপুটে খাচ্ছে। কোন দায়িত্ববান বন কর্মকর্তা এসবের বিরোধীতা করলেই তাকে হতে হয় নানাভাবে হেনস্ত এমনকি জীবনের হিমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়। সহজ হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয় গণমাধ্যমকে। একের পর এক মনগড়া অভিযোগ তুলে, টাকা ছিটিয়ে পত্র-পত্রিকায় বিভ্রান্তিকর সংবাদ ছাপিয়ে নিষ্ঠাবান বন কর্মকর্তাদের নানাভাবে নাজেহাল করা হয়ে থাকে। ফ্যাসিস্ট সরকারের এই সব দোসর সিন্ডিকেটের সাথে নবতর সংযোজন হিসেবে যুক্ত হয় সাবেক বনমন্ত্রী শাহাবুদ্দিনের পুত্র জাকির হোসেন জুম্মন। চট্টগ্রামের সাবেক মন্ত্রী হাসান মাহমুদ, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, নওফেল, চক্রের দাপটে এই সিন্ডিকেট বনভূমি ও বনজ সম্পদকে লুটপাটের হাতিয়ার হিসেবি বেছে নিয়েছে। সুযোগ বুঝে চক্রের ক্ষমতার দাপটে ও মন্ত্রীপুত্র জুম্মনের হাতে লাখ লাখ টাকা দিয়ে চট্টগ্রাম ও রাঙ্গামাটি বনাঞ্চলের লোভনীয় পদসমূহ দখল করে নেন দুই ডজনেরও বেশি বন কর্মকর্তা। তারাই বন লুটেরা ও ভূমি দখলবাজদের সাথে মিলেমিশে গড়ে তুলেছে বিশাল ক্ষমতাধর সিন্ডিকেট। তাদের সিদ্ধান্তের বাইরে কারো যাওয়ার উপায় নেই। জুলাই বিপ্লবের পর ড. মোল্যা রেজাউল করিম চট্টগ্রাম সার্কেলে যোগদান করায় ভীত নড়ে যায় দুর্নীতিবাজ ফ্যাসিস্ট চক্র ও বনজ সম্পদ লুটেরাদের। বন সংরক্ষক মোল্ল্যা রেজাউল করিমের নামে বেনামে ভুয়া দরখাস্ত দিয়ে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় এবং দুর্নীতি দমন কমিশনকে বিভ্রান্ত করে তুলেছে ঐ সিন্ডিকেট। সূত্র জানায়, দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণকারী চট্রগ্রাম সার্কেলের বন সংরক্ষকের বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন সংবাদ প্রচারে ঐ সিন্ডিকেটটি মাঠে নেমেছে। তারা বন প্রশাসনকে অস্থির রেখে অবৈধ ফায়দা হাসিলের অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে বলে জানা গেছে। সূত্রে আরও জানা গেছে, চট্রগ্রাম অঞ্চলের বনজ সম্পদ লুন্ঠনকারী, ভূমি দস্যু ও লুটেরাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেই এই সিন্ডিকেটটি তৎপর হয়ে ওঠে। টার্গেট পূরণে তারা গণমাধ্যমকে ব্যবহার করে। এ ব্যাপারে সচেতনমহল তথ্য সন্ত্রাস বন্ধে সংশ্লিষ্টমহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।