বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশনের নির্বাহী সদস্য ও জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম নুরুজ্জামান বলেছেন, আর্থিকভাবে স্বচ্ছল বীমা কোম্পানিগুলোর কাছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ বন্ড ইস্যু করে সেই টাকা দিয়ে দুর্বল কোম্পানির গ্রাহকদের বীমা দাবি পরিশোধের ব্যবস্থা করতে পারে। এক্ষেত্রে বন্ড ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে ১২ বা ১৩ শতাংশ অথবা প্রচলিত ব্যাংক রেটের চেয়ে ১ বা ২ শতাংশ বেশি মুনাফা দেয়া যেতে পারে। ফান্ড সংকটের কারণে যেসব বীমা কোম্পানি গ্রাহকদের দাবি পরিশোধ করতে পারছে না সেসব কোম্পানির জন্য এমন বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তাব করেন এস এম নুরুজ্জামান। গত ১২ মার্চ ‘বীমা খাতের সংস্কার ও আমাদের করণীয়’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এই প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) ও ইন্স্যুরেন্স রিপোর্টার্স ফোরাম (আইআরএফ)’র যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন আইডিআরএ চেয়ারম্যান ড. এম আসলাম আলম। গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যের বরাত দিয়ে এস এম নুরুজ্জামান বলেন, ২০২৪ সালের এক হিসাবে দেখা গেছে দেশের ৩১টি লাইফ বীমা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১১ লাখ বীমা গ্রাহকের ৩ হাজার ৬৪৩ কোটি টাকার বীমা দাবি অনিষ্পন্ন। এসব কোম্পানির মধ্যে কয়েকটির আর্থিক অবস্থা খুবই নাজুক বলেও জানা গেছে। এক্ষেত্রে ফান্ড সংকটে থাকা যেসব কোম্পানির সম্পদ রয়েছে সেগুলোর সম্পদ বিক্রি করে বীমা গ্রাহকদের পাওনা পরিশোধ করা যেতে পারে।
তিনি বলেন, আরেকটি বিকল্প হতে পারে নিয়ন্ত্রক সংস্থার পক্ষ থকে বন্ড ইস্যু করে তাদের টাকার সংস্থান করা। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বীমা কোম্পানি প্রিমিয়াম সংগ্রহ করে ধাপে ধাপে মুনাফাসহ নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে টাকা পরিশোধ করবে এবং কর্তৃপক্ষ সেই টাকা বন্ড ক্রেতাদের মুনাফাসহ ফেরত দেবে। এক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রক সংস্থা গ্যারান্টার হিসেবে কাজ করবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এভাবে দুর্বল বীমা কোম্পানির গ্রাহকদের দাবি পরিশোধের ব্যবস্থা করা যেতে পারে বলে মনে করেন এস এম নুরুজ্জামান।